Published : 19 Sep 2022, 12:05 AM
অডিও-ভিডিও ভাইরালের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানা ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি।
রোববার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।
সাকিবুল ইসলাম রানার দাবি, সম্প্রতি এক নারী নেত্রীকে ফোনে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার যে অডিও ফাঁস হয়েছে সেটি তার নয়।
অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমির ভাষ্য, ভাইরাল হওয়ার ভিডিওটিতে তাকে যে পানীয় পান করতে দেখা গেছে সেটি ফেনসিডিল নয়, সেটি ছিল স্পিড।
সংবাদ সম্মেলনে নিজ সংগঠনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ দাবি করে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, তিনি কখনও শিবির বা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। আর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজীবের দেওয়া বক্তব্যও সত্য নয়।
ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপটিও তার নয়; চাকরির নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও মিথ্যা বলে দাবি করেন রানা।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে কাটাখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সামার ব্যক্তিগত চেম্বারে থাকার কথা স্বীকার করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি।
তবে তিনি বলেন, “সেখানে থাকা অবস্থায় আমি ফেনসিডিল না, কোমল পানীয় স্পিড পান করেছিলাম।”
ফেনসিডিল সেবনের ভিডিওটি ‘সুপার এডিটিং’ বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন জাকির হোসেন অমি।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের মারধরের যে অভিযোগ ওঠেছে তা অস্বীকার করে অমি বলেন, “সিনিয়রদের সঙ্গে বেয়াদবি করায় শুধুমাত্র শাসন করা হয়েছে, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।”
ছাত্রাবাসে নিজের কক্ষে এসি ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করে অমি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাদের সবার সামনে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। দলের ভেতর থেকেই পরিকল্পিতভাবে তাকে ও তার সভাপতিকে জামায়াত-বিএনপি বানিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের এ দুই নেতা জানান, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সদস্যরা নিরপেক্ষভাবে পুরো বিষয়টি তদন্ত করলেই সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সম্প্রতি রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানার একটি ফোন কলের কিছু অংশ (৪ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ক্লিপ) ভাইরাল হয়। এতে তাকে এক নারীর সঙ্গে আপত্তির কথাবার্তা বলতে শোনা যায়। পাশাপাশি নিজেকে সব ‘চিটারের সর্দার’ বলে দাবি করেন রানা। একইসঙ্গে অনেক চিটারি-বাটপারি করে সভাপতির পদ বাগিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অপরদিকে, ভাইরাল হওয়ার এক ভিডিওতে সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে এক নেতার চেম্বারে বসে ফেনসিডিল সেবন করতে দেখা যায়।
এ দুটি ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনার তদন্তে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।