বাফুফে নির্বাচন
Published : 26 Oct 2024, 09:43 PM
‘জিতিল রে জিতিল, তাবিথ ভাই জিতিল’, ‘সভাপতি কে হলো? তাবিথ ভাই, তাবিথ ভাই’- এমন নানান স্লোগানে বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন কেন্দ্র মুখরিত করে তুললেন তাবিথ আউয়ালের সমর্থকরা।
তখন পর্যন্ত বাইরে আসেননি বাফুফের নব নির্বাচিত সভাপতি। কিছুক্ষণ পর নতুন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান এবং চার সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরি, সাব্বির আহমেদ আরেফ ও ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিমকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে আসেন তাবিথ। তখন আরেক দফা শুরু হয় স্লোগান।
সবাইকে থামিয়ে শুরুতেই প্রথমবার বাফুফে প্রধানের দায়িত্ব পেয়ে জুন-জুলাই ও অগাস্ট মাসের গণ অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিপ্লবী ছাত্রজনতাকে ধন্যবাদ জানান তাবিথ। পরে সমর্থক ও ফুটবলপ্রেমীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় জনগণের প্রত্যাশা পূরণের প্রতিশ্রুতিও দেন একাধারে ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ও ক্রীড়া সংগঠক ব্যক্তিত্ব তাবিথ।
রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে শনিবারের নির্বাচনে ১২৮ ভোটের মধ্যে ১২৩টি পেয়ে নিরঙ্কুশভাবে বাফুফে সভাপতি হন তাবিথ। এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। ২০২০ সালে একই পদের ভোটে হেরেছিলেন টাইব্রেকারে।
চার বছর পর এবার দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার সর্বোচ্চ পদেই বিজয়ী হলেন তাবিথ। নতুন এই দায়িত্বে দেশের ফুটবলের দেখভাল করার জন্য এরই মধ্যে একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চারজন সহ-সভাপতিকে পেয়ে গেছেন তিনি। তাদের সঙ্গে থাকবেন আরও ১৫ জন সদস্য।
সব মিলিয়ে এই কমিটি নিয়ে আশাবাদী বাফুফের নতুন সভাপতি। দেশের জনগণের ফুটবল ঘিরে প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জ জিততে পারবেন বলে বিশ্বাস তার।
“প্রতিটা মুহূর্তে ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব হলো বাংলাদেশের ফুটবলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া। তাই আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বিগত কমিটিকে, তারা যে অবদানগুলো রেখেছে। আমরা আজকে থেকে এই বক্তব্যের মাধ্যমে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণের উদ্দেশ্য নিয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করছি।”
“ডেলিগেটরা আমাদের যে ৬ জনকে নির্বাচিত করেছে, আমাদের ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছে এবং আগামী কিছুক্ষণের মধ্যে আরও ১৫ জন সদস্য যুক্ত হবেন। এই দলকে দেখে আমি বিশ্বাস করি কোনো কাজই চ্যালেঞ্জিং না। আমরা অবশ্যই প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব এবং জনগণের যে প্রত্যাশা সেটা আমরা পূরণ করব।”
এ সময় নিজের লক্ষ্য ও কর্ম-পরিকল্পনা নিয়েও প্রাথমিক ধারণা দেন বিপুল ভোটে জেতা তাবিথ।
“আমরা সকলেই একমত যে, ফুটবলে আমরা সংস্কার আনতে চাই। এ কারণে আমরা শুরুতে আমাদের গঠনতন্ত্র ও পরিকল্পনার জায়গায় সংস্কারের কর্মসূচিগুলো হাতে নেব। একই সঙ্গে মাঠের ফুটবল যেন চলমান থাকে এবং আরও উচ্চ পর্যায়ে চলে যায়, সে ব্যাপারে আমরা কাজ শুরু করব।”