নারী ফুটবল
Published : 05 Jun 2025, 08:41 PM
জর্ডান সফর কেমন হলো জানতে চাইলে পিটার জেমস বাটলার একশব্দে বললেন, ‘দুর্দান্ত।‘ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানকে রুখে দেওয়া দারুণ প্রাপ্তিই বটে। দুই প্রীতি ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সে ইতিবাচক অনেক দিকই দৃষ্টিগোচর হয়েছে বাটলারের। মিয়ানমার মিশন সামনে রেখে দলের দৃঢ়তা বাড়াতে থাইল্যান্ডে নিবিড় প্রস্তুতি নেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ।
দুই ড্র দিয়ে জর্ডান সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ দল। এক-দুদিন বিশ্রাম নিয়ে বাটলার ফের নেমে পড়বেন অনুশীলন। চলতি জুনের শেষ দিকে মিয়ানমারে উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে খেলতে যাবে দল। ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান, বাহরাইন ও স্বাগতিক মিয়ানমার।
এই তিন দলের মধ্যে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৩৩তম) চেয়ে পিছিয়ে কেবল তুর্কমেনিস্তান (১৪১তম)। বাকি দুই দল ঢের এগিয়ে- মিয়ানমার ৫৫তম, বাহরাইন ৯২তম। বাছাইয়ের পথটা তাই মেয়েদের জন্য অনেক কঠিন।
লক্ষ্য ছোঁয়া আবার একেবারে অসম্ভবও নয়। জর্ডান সফরের প্রাপ্তিতে আরও আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী হয়ে উঠেছে দল। র্যাঙ্কিংয়ে ৩৯ ধাপ এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়াকে গোলশুন্য ড্রয়ে রুখে দেওয়ার পর ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা জর্ডানের বিপক্ষে বাংলাদেশে দুইবার পিছিয়ে পড়েও ড্র করেছিল ২-২ গোলে।
বাছাইয়ের আগে আরও আঁটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি নিতে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন বাটলার। মিয়ানমার যাওয়ার আগে থাইল্যান্ডে কয়েকটা দিন নিবিড় অনুশীলনের ভাবনাও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন এই ইংলিশ কোচ।
“জর্ডানে মেয়েদের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। র্যাঙ্কিংয়ে অনেক উপরে থাকা দুই দলকে বলতে গেলে ছিটকে দিয়েছে মেয়েরা। তাদের আজ ও কাল বিশ্রাম দিব। রোববার ফের শুরু করব ট্রেনিং।”
“একটা পরিকল্পনা আছে আমার। মিয়ানমারে যাওয়ার পথে থাইল্যান্ডে তিন-চার দিনের একটা ক্যাম্প করতে চাই। যেন আমরা ইতিবাচক আবহে প্রস্তুতি সেরে নিতে পারি, সবকিছু গুছিয়ে নিতে পারি।”
শক্তিশালী জর্ডানের বিপক্ষে শামসুন্নাহার জুনিয়র ও শাহেদা আক্তার রিপা পেয়েছেন জালের দেখা। ইন্দোনেশিয়া ম্যাচে সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি ঋতুপর্ণা চাকমা-মনিকা চাকমারা। আক্রমণভাগের পারফরম্যান্সে খুশি হলেও, আরও শক্তিশালী দলের বিপক্ষে দলকে পরখ করতে চান কোচ।
“অতীতের চেয়ে এই সফরে দলের সবকিছু আরও ইতিবাচক এবং ভালো দেখেছি আমি। ফরোয়ার্ডদের নিয়ে আমি খুশি। তবে তাদের আরও শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আরও বেশি ম্যাচ খেলা প্রয়োজন। কেননা, আমার স্বপ্ন মিয়ানমার সফর নয়।”