Published : 04 Jul 2025, 01:00 PM
বয়স পেরিয়ে গেছে ৩২। নিষেধাজ্ঞার পর মাঠে ফিরে নিজেকে আদৌ কতটা ফিরে পাবেন, সেই সংশয় আছে। তবু স্বপ্ন বুকে পুষে রেখেছেন পল পগবা। ক্লাব ফুটবলে ফেরার পথ ধরে তিনি ফিরতে চান জাতীয় দলেও। তবে বাস্তবতাও ভালো করেই জানেন এই মিডফিল্ডার। তাই নিজেই বললেন, ফ্রান্সের হয়ে ফেরার পথে এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন তিনি।
ফরাসি ক্লাব মোনাকোর সঙ্গে সম্প্রতি দুই বছরের চুক্তি করেছেন পগবা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই ক্লাবের হয়েই মাঠে ফিরবেন সামনের মৌসুমে।
ডোপিংয়ের দায়ে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল চার বছরের জন্য। তবে পরে তা কমিয়ে আনা হয় দেড় বছরে। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এখন ফুটবল ক্যারিয়ারে নতুন অধ্যায় শুরুর অপেক্ষায় তিনি।
ক্লাব ফুটবলে ফেরার পর তার ভাবনার সীমানায় আছে জাতীয় দলও। ফ্রান্স দলের অপরিহার্য সদস্য ছিলেন তিনি একসময়। ৯১টি ম্যাচ খেলেছেন দেশের হয়ে। বড় মঞ্চে দুর্দান্ত পারফর্মও করেছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপে তিনি স্বীকৃতি পেয়েছিলেন আসরের সেরা তরুণ ফুটবলারের। ২০১৮ বিশ্বকাপে দলের শিরোপা জয়ে তার ছিল বড় অবদান।
গত বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি চোটের কারণে। দেশের হয়ে সবশেষ খেলেছেন সেই ২০২২ সালে। এখন তো তিনি জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে।
সেই দূরত্ব তিনি ঘুচিয়ে ফেলতে চান। তবে বাস্তবতা মেনেই এগোতে চান ধাপে ধাপে।
“প্রতিটি ফরাসি ফুটবলারের চাওয়া থাকে ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে খেলা। আমারও ইচ্ছে আছে ফেরার। তবে সবকিছুরই নানা পর্যায় আছে। আমি এখন আছি প্রথম পর্যায়ে। মাঠে ফিরছি, এরপর ভালো পারফর্ম করতে হবে।”
“জাতীয় দলে ফেরা সহজ নয়। জায়গা আদায় করে নিতে হবে, অর্জন করে নিতে হবে। কারণ আমাদের জাতীয় দলে দারুণ সব ফুটবলার আছে। দুর্দান্ত একটি দল এটি।”
পগবার পর গত সোমবার ইংলিশ ফুটবলার এরিক ডায়ারকে দলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মোনাকো। টটেনহাম হটস্পারের হয়ে প্রায় তিনশ ম্যাচ খেলা অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার রোমাঞ্চিত পগবাকে সতীর্থ হিসেবে পেয়ে।
“তার (পগবা) এখানে যোগ দেওয়া অবশ্যই এই ক্লাবের জন্য ও ফরাসি লিগের জন্য দারুণ রোমাঞ্চকর। পলের বিপক্ষে অনেকবার খেলেছি আমি এবং জানি, সে কতটা ভালো। সবাই জানে তা। তাকে আবার ফুটবল খেলতে দেখতে মুখিয়ে আছি আমি। কাছ থেকে সেটা দেখতে পারা হবে আরও দারুণ।”
বার্সেলোনা থেকে সম্প্রতি ধারে মোনাকোতে যোগ দেওয়া আনসু ফাতির জন্য তো পগবার সঙ্গে খেলতে পারা স্বপ্নের মতো ব্যাপার।
“সবাই জানে পল পগবা কেমন ফুটবলার। আমি খুবই খুশি যে তিনি মোনাকোয় নাম লিখিয়েছেন। আমার মনে হয়, গোটা ফুটবল বিশ্ব খুশি তাকে ফিরতে দেখে। তিনি যেখানেই খেলেছেন, সবসময় ছিলেন সেরাদের একজন। আশা করি, একসঙ্গে দারুণ একটি মৌসুম আমরা কাটাব ক্লাবকে সেখানে পৌঁছে দিতে, যেখানে থাকাটা প্রাপ্য।”
“তাকে এই ক্লাবে পাওয়াটা স্বপ্নের মতো। ছোট থেকেই তার অনুরক্ত আমি। যখন বার্সেলোনার একাডেমিতে ছিলাম, তিনি ছিলেন আমার ও আমার অনেক বন্ধুর আদর্শ। সবাই তাকে নিয়ে কথা বলত এবং তার সম্পর্কে জানতে চাইত। তার সঙ্গে এখন খেলতে পারা হবে অবিশ্বাস্য এবং যতটা সম্ভব তা উপভোগ করতে চাই।”