Published : 07 May 2025, 07:45 PM
তিন বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, ইউক্রেইন-রাশিয়া য়ুদ্ধ থামার তেমন আভাস দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডলান্ড ট্রাম্প অবশ্য অপ্রত্যাশিতভাবে ‘অন্ধকার গুহায় আলোর রেখা’ দেখতে পাচ্ছেন। ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপে রাশিয়াকে খেলার সুযোগ দিয়ে তাদেরকে থামানো যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়া আগ্রাসন শুরুর পর দেশটিতে ক্রীড়াক্ষেত্রে নানারকম নিষেধাজ্ঞা আসতে শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় রাশিয়ার অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে ফিফা ও উয়েফা।
নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে পারেনি রাশিয়া জাতীয় পুরুষ ফুটবল দল। মেয়েদের ২০২২ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও পরের বছরের বিশ্বকাপেও অংশ নিতে পারেনি দেশটি। শুধু জাতীয় দলই নয়, তাদের সব ক্লাবও পড়েছে ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায়।
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ট্রাম্প তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার ‘প্রথম দিনেই’ রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধে ইতি টানবেন তিনি। তার দায়িত্বে প্রায় চার মাস হতে চলেছে, সেটা এখনও হয়নি।
রুশ ফুটবলের ওপর নিষেধাজ্ঞাও বহাল আছে। পরিস্থিতির বদল না এলে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় পরের পুরুষ বিশ্বকাপেও অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট, কানাডা ও মেক্সিকোর যৌথ আয়ৈাজনে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে বসবে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ। তিন স্বাগতিক সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে এবং বাকি ৪৫টি জায়গার জন্য ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছে বাছাইপর্ব। কিন্তু রাশিয়া বাছাইয়ে অংশ নিতে পারছে না।
২০২৬ বিশ্বকাপের প্রশাসনিক টাস্কফোর্সের প্রথম সভার বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে রাশিয়াকে বিশ্বকাপে ফেরানোর মধ্য দিয়ে যুদ্ধের অবসান করা যেতে পারে।
বিশ্বকাপসহ সকল আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে রাশিয়া যে নিষিদ্ধ, তা জানতেন না ট্রাম্প। সভায় ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পাশে বসে তিনি জানতে চান।
“আমি এটা জানতাম না। আসলেই কি তাই?”
উত্তরে ইনফান্তিনো বলেন, “হ্যাঁ, এটাই (রাশিয়া নিষিদ্ধ)।”
“আপাতত তারা (আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে) অংশ নিতে পারছে না। কিন্তু আমরা আশা করি, (ইতিবাচক) কিছু ঘটবে এবং শান্তি ফিরে আসবে, এতে রাশিয়াও ফুটবলে ফিরতে পারবে।”
এরপর ট্রাম্প বলেন, “এটা সম্ভব। তাদের জন্য এটা বেশ ভালো একটা প্রনোদনাও হবে, তাই না”
“আমরা তাদেরকে থামাতেই চাই। আমরা চাই, তারা যুদ্ধ শেষ করুক। প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার তরুণ নিহত হচ্ছে, এটা এমনকি বিশ্বাসের বাইরে।”
পরক্ষণেই অবশ্য ট্রাম্প বলেন, এ বিষয়ে অবশ্য তার ‘কিছু করার নেই।’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সম্পূর্ণই ইনফান্তিনোর, তিনিই বস।
পরে এ বিষয়ে ফিফার মন্তব্য জানতে সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিবিসি।