Published : 15 Jun 2025, 10:37 PM
প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে জানলুইজি বুফ্ফন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ইতালির হাল ধরবেন জেন্নারো গাত্তুসো। সে কথাই সত্যি হলো। ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি) এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, সাবেক এই মিডফিল্ডারের হাতেই দিকহারা দলের ভার তুলে দিচ্ছে তারা।
গত সপ্তাহে লুসিয়ানো স্পালেত্তির বিদায়ের পর ফাঁকা হয়েছিল ইতালির কোচের পদ। শূন্যস্থান পূরণে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন বেশি সময় নিল না। রোববারই তারা নিশ্চিত করল গাত্তুসোকে নিয়োগ দেওয়ার কথা।
আগামী বৃহস্পতিবার রোমের পারকো দেই প্রিন্সিপাল হোটেলে ইতালি কোচ হিসেবে সাবেক এই মিডফিল্ডারকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।চার বিশ্বকাপের সর্বশেষটি ইতালি জিতেছিল ২০০৬ সালে। সেবার জয়ী দলের মাঝমাঠে আলো ছড়িয়েছিলেন গাত্তুসো।
পেশাদার ফুটবলকে বিদায় বলে দেওয়ার পর কোচিংয়ে জড়িয়ে পড়া ৪৭ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান সবশেষ ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব হাইডুক স্প্লিটের কোচ ছিলেন। দেশটির শীর্ষ লিগে দলটি তৃতীয় হওয়ার পর পারস্পারিক সমঝোতায় কোচের পদ থেকে সরে যান তিনি।
বিশ্বকাপ জয়ী এই সাবেক তারকার হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে পেরে খুশি এফআইজিসি সভাপতি গাব্রিয়েলে গ্রাভিনা। তার বিশ্বাস গাত্তুসোর হাত ধরে অভিষ্ঠ লক্ষে পৌঁছাবে ইতালি।
“জেন্নারো হচ্ছে ইতালিয়ান ফুটবলের একটা প্রতীক- এই নীল জার্সি তার গায়ের দ্বিতীয় ত্বকের মতো। তার অনুপ্রেরণা, পেশাদারিত্ব এবং অভিজ্ঞতা ইতালি জাতীয় দলের সামনের প্রতিযোগিতাগুলোয় মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে সেরা আত্মপরিচয় হয়ে উঠবে।”
“যেটা আমরা অর্জন করতে চাই, সেটার গুরুত্ব অনুধাবন করাবে (তার উপস্থিতি)। সাড়া দেওয়ায় এবং এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করায়, আমাদের ফুটবলের উন্নয়নে এফআইজিসির প্রকল্পগুলোর সাথে যুক্ত হওয়ায় আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। নীল জার্সিতে (ইতালির মূল দল) তিনি পালন করবেন কৌশলগত মূল ভূমিকা।”
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বাধা পেরুনোই এখন ইতালির মূল লক্ষ্য। বাছাইয়ের ম্যাচে নরওয়ের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় ছাঁটাই হন স্পালেত্তি। পরে মলদোভার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের ম্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার অধ্যায়। এবার তার উত্তরসূরি হয়ে এলেন ইতালির হয়ে ৭৩ ম্যাচ খেলা গাত্তুসো। এফআইজিসি সুত্রের বরাতে রয়টার্স লিখেছে, এক বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গাত্তুসোকে।
কোচ হিসেবে নাপোলির হয়ে ২০২০ সালে গাত্তুসো কোপা ইতালিয়া জিতেছিলেন। এখন তার কাঁধে জাতীয় দলকে বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে ফিরিয়ে আনার মহাভার। বাছাই পেরুতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্বকাপের গত দুই আসরে ইতালি ছিল দর্শক।