ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ
Published : 29 Jun 2025, 11:56 PM
বিপর্যস্ত প্রথমার্ধের পর পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলেন লিওনেল মেসি, ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল তার দল ইন্টার মায়ামি। কিন্তু পিএসজির শক্তির সামনে কিছুই করতে পারল না তারা। অনায়াস জয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
আটলান্টায় মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে রোববার শেষ ষোলোর ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতেছে লুইস এনরিকের দল।
সবগুলো গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। উসমান দেম্বেলেকে বেঞ্চে রেখে খেলতে নামা পিএসজির হয়ে জোড়া গোল করেন জোয়াও নেভেস। বিরতির ঠিক আগে মায়ামির একটি আত্মঘাতী গোলের পর চতুর্থ গোলটি করেন আশরাফ হাকিমি।
লক্ষ্যে নেওয়া দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। ভিতিনিয়ার দূরের পোস্টে বাড়ানো দারুণ ক্রসে কোনাকুনি হেডে গোলটি করেন জোয়াও নেভেস।
৩৯তম মিনিটে আবারও রক্ষণে গড়বড় করে ফেলে মায়ামি। ছোট ছোট পাসে শাণানো আক্রমণে বক্সে ফাবিয়ান রুইসের পাস ফাঁকায় পেয়ে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার নেভেস।
এই গোলেই যেন পুরো এলোমেলো হয়ে পড়ে মায়ামি। বিরতির আগেই কিনা আরও দুটি গোল হজম করে বসে তারা।
৪৪তম মিনিটে দিজিরে দুয়ের ডি-বক্সে বাড়ানো ক্রসে তেমন কোনো হুমকি ছিল না; কিন্তু সেটা আটকাতেই আত্মঘাতী হয়ে বসেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার তমাস। আর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কাছ থেকে দলের চতুর্থ গোলটি করেন হাকিমি।
প্রথমার্ধের পুরোটা সময় মাঠে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ছিল পিএসজির। এই সময়ে গোলের জন্য মোট ১০টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। বিপরীতে, প্রতিপক্ষের দাপুটে ফুটবলের সামনে ঠিকমতো পজেশনই পায়নি মায়ামি।
বিশেষ করে তাদের রক্ষণভাগের দুর্বলতা বারবার স্পষ্ট হতে থাকে। দলটির আক্রমণভাগের তারকা জুটি মেসি ও লুইস সুয়ারেসের উপস্থিতি এসময় সেভাবে চোখেই পড়েনি! গোলের জন্য একটিও শট নিতে পারেনি তারা।
বিরতির পর যেন গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন মেসি। ৫১তম মিনিটে গোলের জন্য দলের প্রথম শটটি নেন তিনি, যদিও সেটা প্রতিপক্ষের পায়ে প্রতিহত হয়।
কিছুক্ষণের মধ্যে আরও দুবার প্রচেষ্টা চালায় মায়ামি, যদিও কোনোটিই তেমন ভাবাতে পারেনি প্রতিপক্ষকে। বরং প্রথমার্ধের মতো অধিকাংশ সময় পজেশন রেখে আক্রমণ করতে থাকে পিএসজি।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক গোছানো ফুটবল খেলা মেজর লিগ সকারের দল মায়ামি ব্যবধান আর বাড়তে দেয়নি।
কোয়ার্টার-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ-ফ্ল্যামেঙ্গো ম্যাচের বিজয়ীদের মুখোমুখি হবে পিএসজি।