বাফুফে
Published : 29 May 2025, 08:19 PM
চট্টগ্রাম আবাহনী ও ফর্টিস এফসির বৃহস্পতিবারের ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো ২০২৪-২৫ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ। একই দিনে পরের মৌসুম নিয়ে আলোচনায় বসেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পেশাদার লিগ কমিটি। সেখানে, অনূর্ধ্ব-২০ বছর বয়সীদের শীর্ষ লিগে খেলার পথ আরও মসৃণ করা, বিদেশি কোটা কমানো, খেলোয়াড় নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজকরণ, বাফুফে সদস্যদের ডাগআউটে দাঁড়াতে না দেওয়াসহ আরও অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাফুফের নির্বাহী, স্ট্যান্ডিং, অ্যাডহক কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটিতে আছেন ক্লাবগুলোর কর্মকর্তাদের অনেকে। তাদের ম্যাচ চলাকালীন ডাগআউটে দাঁড়ানো নিয়ে বিতর্ক আছে ঢের। অতীতে এ নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে অনেক। এতদিন হেল-দোল না দেখালেও এবার পেশাদার লিগ কমিটি নড়েচড়ে বসেছে। কমিটির চেয়ারম্যান সভা শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
“বাফুফের ইসি কমিটি, বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং বা অ্যাডহক কমিটিতে যারা আছেন, তাদের কেউ ডাগআউটে দাঁড়াতে পারবেন না। ইন্টিগ্রিটি আপগ্রেড করার জন্য প্রতিটি ডাগআউটে রেকর্ডার বসানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে।”
ইমরুল নিজেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দল বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি। এছাড়া বাফুফের সদস্য সত্যজিৎ দাস রুপু আবাহনীর টিম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন সদ্য শেষ হওয়ার লিগেও। বাফুফের আরেক সদস্য আমের খান সংশ্লিষ্ট ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাথে। ইমরুল জানালেন, ক্লাবগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকা নিয়ে ‘আপত্তি’ নেই কমিটির, তবে কেউ ‘প্রত্যক্ষভাবে’ ডাগআউটে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
২০২৫-২৬ মৌসুমের লিগে দলবদল সংক্রান্ত কাজ সহজ করতে ক্লাবগুলোকে অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সুযোগ দিবে কমিটি। শীর্ষ লিগে তরুণদের পথটা আরও প্রশস্ত করার সিদ্ধান্তও হয়েছে বলে জানালেন ইমরুল।
“আগামী বছর থেকে ক্লাবগুলো খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারবে ৩৫ জন; এর মধ্যে ৫ জনের বয়স নির্ধারণ করে দিয়েছি, যাদের জন্ম ১ জুন ২০০৬ থেকে ৩১ মে ২০০৯ পর্যন্ত, অর্থাৎ অনুর্ধ্ব-২০ বছর বয়সী হতে হবে তাদের। এদর মধ্যে একজনকে অবশ্যই সেরা একাদশে খেলাতে হবে।”
“বিদেশি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে একজন কমিয়ে পাঁচ জন করা হয়েছে। যার মধ্যে চার জন স্কোয়াডে থাকবে, এর মধ্যে তিন জন সেরা একাদশে খেলতে পারবে। এক বিদেশির পরিবর্তে আরেকজন খেলতে পারবে।”
দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন সার্কভুক্ত দেশগুলোর খেলোয়াড় দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘বিদেশি কোটা’ ইস্যু তুলে দেওয়া হয়েছে।
“সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্লেয়ারদের যদি কোনো ক্লাব নেয়, তাদের ‘স্থানীয়’ খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য করা হবে, ‘বিদেশি’ বলে গণ্য করা হবে না। এখানে খেলোয়াড় নেওয়ার ক্ষেত্রে সংখ্যার কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না। তবে ক্লাবগুলোর সাথে পরে এ বিষয়ে কথা বলে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করব।”
প্রিমিয়ার লিগ শেষে দুই দলকে ট্রফি দেওয়ার পুরোনো রেওয়াজ থেকে বেরিয়ে যুগোপযোগী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।
“প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপকে ট্রফি দেওয়া হয় আমাদের এখানে, যেটা বিশ্বের কোথাও হয় না। শুধু চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি দেওয়া হয়। এবার থেকে আমরাও শুধু চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি দেব। তবে টুর্নামেন্টগুলোতে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে ট্রফি দেব।”
২০১৩ সালের পর ‘কোটি টাকার’ সুপার কাপ নিয়ে মাঝের সময়ে কথা হয়েছে অনেক, কিন্তু কোনো আলোচনায় শেষ পর্যন্ত দেখেনি আলোর মুখ। ইমরুল জানালেন, আগামী মৌসুমে ফিরবে আলোচিত এই আসরটি।
“এবারের লিগের সেরা চার দল সুপার কাপে খেলবে। চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে আগামী মৌসুম শুরু হবে। স্বাধীনতা কাপ হবে স্থানীয় খেলোয়াড়দের দিয়ে।”