Published : 07 May 2025, 11:19 AM
লামিনে ইয়ামাল যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। একই অনুভূতি হওয়ার কথা গ্যালারিতে থাকা আর টিভি পর্দার সামনে কোটি কোটি দর্শকেরও। মনে হচ্ছিল, বলটি জালে ঢুকেই যাবে। কিন্তু চোখের পলকে ফুল লেংথ ডাইভ দিয়ে অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় আঙুলের ছোঁয়ায় বল বাইরে পাঠিয়ে দেন ইয়ান সমের। ম্যাচের তখন ১১৪তম মিনিট চলছে।
এটি স্রেফ একটি নমুনা মাত্র। এই শটের মতোই ম্যাচজুড়ে ইয়ামালকে বারবার হতাশ করেছেন সমের। দুই লেগ মিলিয়ে ঠেকিয়েছেন বার্সেলোনার একের পর এক আক্রমণ। দুই লেগ মিলিয়ে ছয়টি গোল হজম করার পরও ইন্টার মিলানের ফাইনালে ওঠার নায়কদের একজন এই গোলকিপার। দ্বিতীয় লেগে সাত গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ম্যাচ সেরা তিনিই, যার কাজ গোল ঠেকানো।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে ইন্টার মিলান জয় পায় ৪-৩ গোলে। দুই লেগ মিয়ে ৭-৬ গোলের অগ্রগামিতায় তারা পৌঁছে যায় ফাইনালে।
দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার পরাজয়ের দুয়ারে থাকা ইন্টারকে উদ্ধার করেন ফ্রান্সেসকো আচের্বি। মৌসুমে প্রথম গোল করে ৯৩তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান ৩৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে দলকে জেতান দাভিদে ফ্রাত্তেসি। কিন্তু যারা খেলা দেখেছেন, তারা জানেন, এই ম্যাচে ও দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার নায়কদের একজন গোলকিপা সমের।
দুই লেগে সাতটি করে মোট ১৪টি সেভ করেছেন সমের। ইয়ামালের ওই শটের মতো বেশ কয়েকটি সেভ ছিল প্রায় নিশ্চিত গোল হওয়ার মতো।
সান সিরোর মহাপ্রাচীর তাকে বলাই যায়!
ম্যাচ শেষে সমের নিজেও ছিলেন উচ্ছ্বসিত।
“আমি খুবই খুশি। অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ ছিল এটি। আজকে রাতে আমাদের দল অসাধারণ কিছু করেছে।”
“শেষ দিকে লামিন ইয়ামালের যে শটটি ঠেকিয়েছি, তা ছিল স্পেশাল। সে দুর্দান্ত এক ফুটবলার, বক্সের ভেতরে ঢুকে চকিতে শট নিয়ে নেয়। ভালো লেগেছে যে বল জালে ঢোকেনি এবার।”
প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া দল দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে। তৃতীয় গোলটি যখন হজম করে তারা, নির্ধারিত সময়ের তখন আর মিনিট তিনেক বাকি। কিন্তু তারপরও ভেঙে পড়েনি দল, বললেন সমের।
“এই ম্যাচ দেখিয়েছে যে, আমরা শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস রেখেছি। আচের্বির দিকে দেখুন, ৯৩তম মিনিটে সমতাসূচক গোল করেছে। আমরা কখনও বিশ্বাস হারাইনি।”
ট্রেবল স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পর ক্লাসিকোয় তাকিয়ে বার্সেলোনা
'হৃদয় দিয়ে' লড়ে বার্সেলোনাকে বিদায় করেছে ইন্টার মিলান