ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ
Published : 01 Jul 2025, 05:29 PM
বল নিয়ন্ত্রণে রাখা, গোলে ও লক্ষ্যে শট- সবকিছুতে প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক এগিয়ে। কিন্তু সেই তুলনায় গোলমুখে যথেষ্ট কার্যকর হতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। আল হিলালের বিপক্ষে বিস্ময়কর হারে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর ইংলিশ দলটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার তাই একটাই আফসোস- প্রথমার্ধে সুযোগগুলো যদি কাজে লাগানো যেত!
ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে শেষ ষোলোর রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো লড়াইয়ে সিটিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে বড় চমক দেখায় সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভালো করে আগের সংস্করণে ক্লাব বিশ্বকাপের ২০২৩ সালের চ্যাম্পিয়ন সিটি। নবম মিনিটে বের্নার্দো সিলভার গোলে এগিয়ে যায় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতা ফেরান মার্কোস লেওনার্দো। একটু পর মালকমের গোলে এগিয়েও যায় আল হিলাল। তিন মিনিট পরই অবশ্য সিটিকে সমতায় ফেরান আর্লিং হলান্ড। ৯০ মিনিটে আর গোল হয়নি।
অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো লড়াইয়ে ৯৪তম মিনিটে আল হিলাল আবার এগিয়ে যায় কালিদু কুলিবালির গোলে। ১০৪তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-৩ করেন ফিল ফোডেন। কিন্তু ১১২তম মিনিটে লেওনার্দোর দ্বিতীয় গোলে অবিশ্বাস্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আল হিলাল।
গোটা ম্যাচে ৬৯ শতাংশ সময় বল নিজেদের কাছে রেখে গোলের জন্য ৩০টি শট নিয়ে ১৪টি লক্ষ্যে রাখতে পারে সিটি, কিন্তু কাজে লাগাতে পারে স্রেফ ৩টি। আল হিলাল ১৭টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে, তাতেই বাজিমাত করে সিমোনে ইনজাগির দল।
ম্যাচজুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্সে বারবার সিটিকে হতাশ করেন আল হিলালের গোলকিপার ইয়াসিন বোনু।
ম্যাচ শেষে গুয়ার্দিওলা অকপটে স্বীকার করে নিলেন, যথেষ্ট কার্যকর হতে পারেনি তাদের আক্রমণভাগ।
“দিন শেষে আমাদের গোল করতে হবে ও কার্যকর হতে হবে। ওরা প্রথমার্ধে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি, আমরা করেছি; কিন্তু ফিনিশিংয়ে ব্যর্থ হয়েছি। আমার মনে হয়েছিল, আমরা পরের ধাপে যাব।”
নতুন আঙ্গিকে এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচেই জয়ের পথে মোট ১৩ গোল করেছিল সিটি। বিপরীতে তারা গোল হজম করেছিল কেবল ২টি।
পুরোনো ক্লাব বিশ্বকাপে সিটির আগে বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্বে একবার ও বার্সেলোনার হয়ে দুবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পান গুয়ার্দিওলা। সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্টে কোচ হিসেবে নিজের আগের ১১ ম্যাচের সবকটিতে জিতেছিলেন তিনি, যেখানে গোল হজম করেছিলেন মাত্র ৪টি। সেখানে এবার ১২০ মিনিটেই হজম করতে হলো ৪ গোল।
টুর্নামেন্টে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ছিল গুয়ার্দিওলা। বিদায় নেওয়ায় এখন বিশ্রাম নিয়ে নতুন মৌসুম শুরুর দিকে মনোযোগ দিতে চান এই স্প্যানিয়ার্ড।
“আরও এগিয়ে যেতে পারলে ভালো লাগত, প্রতি চার বছরে একবার এখানে থাকা সহজ নয়। দলের সবার মধ্যে এখনও সেই অনুভূতি কাজ করছে যে, দল ভালো করছে। কিন্তু আমরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। এখন সময় বিশ্রাম নেওয়ার, মনকে সতেজ করার ও পরের মৌসুমের জন্য ফিরে আসার।”