Published : 23 Sep 2021, 03:05 PM
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, গোটাটিই অভ্যন্তরীণভাবে জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্প ‘প্রজেক্ট অ্যামপ্লিফাই’ এর অংশ। প্রকল্পটিতে আরও আক্রমণাত্মক পন্থা অনুসরণ করছে মার্কিন সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যদিকে, প্রযুক্তি সংবাদ সাইট সিনেট বলছে, ধারাবাহিক কেলেঙ্কারির মুখে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল ফেইসবুক। গত মাসে ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গও সম্মতি দিয়েছেন এতে।
এ ব্যাপারে অবগত তিন সূত্রের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, এ প্রকল্পের মূল ধারণা হলো ফেইসবুকে উপাদেয় সংবাদ আইটেম ছড়িয়ে দেওয়া – যার কোনো কোনোটি ফেইসবুকের নিজেরই তৈরি করা। এর মাধ্যমে নিজ ব্যবহারকারীদের কাছে ফেইসবুকের ভাবমূর্তি উদ্ধারের আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
কিন্তু গোটা বিষয়টিই স্পর্শকাতর, কারণ নিজ ভাবমূর্তির ঘষামাজায় এর আগে কখনও নিউজ ফিডকে ব্যবহার করেনি ফেইসবুক। ফলে এরকম প্রস্তাবনায় বিস্মিত হয়েছিলেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নির্বাহী - নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত একজন।
তবে, নিউজ ফিডে পরিবর্তন আনা এবং জানুয়ারিতে কোনো বৈঠক হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন ফেইসবুক মুখপাত্র জো অসবর্ন। এক টুইটে তিনি বলছেন, ফেইসবুক নিউজ ফিড র্যাংকিংয়ে “শূন্য পরিবর্তন” এসেছে।
ফেইসবুককে ২০১৮ সালের কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ডেটা কেলেঙ্কারির পর থেকেই আইনপ্রণেতা ও নিয়ন্ত্রকদের চোখ রাঙানি সহ্য করতে হচ্ছে, নানাবিধ তদন্তের মুখেও পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আদৌ প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষায় যথেষ্ট করছে কি না তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
উপরি হিসেবে অভিযোগ রয়েছে, মার্কিন নির্বাচন, করোনাভাইরাস ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সময় ভুল তথ্য ঠেকাতে যথেষ্ট করেনি ফেইসবুক।
গত সপ্তাহে আবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ফেইসবুকের অভ্যন্তরীন গবেষণা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ফের প্রভাব পড়েছে ফেইসবুকের ভাবমূর্তিতে। এগুলোর জবাবে ব্লগ পোস্ট প্রকাশ করেছে ফেইসবুক। সেখানে জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যের “ইচ্ছাকৃত ভুল বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্তি” রয়েছে সংবাদে।
সাম্প্রতিক গবেষণা কেলেঙ্কারির ব্যাপারে জাকারবার্গ ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বা ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু বলেননি।