দুই বছরেই প্রচলিত কম্পিউটার চিপকে ‘পেছনে ফেলবে’ কোয়ান্টাম চিপ

আইবিএম জানিয়েছে, তাদের নতুন ‘ইগল’ কম্পিউটিং চিপে ১২৭টি ‘কিউবিটস’ রয়েছে, যা তথ্যকে কোয়ান্টাম কাঠামোতে তুলে ধরতে পারবে। অন্যদিকে, ক্লাসিকাল কম্পিউটার ‘বিটস’ ব্যবহার করে কাজ করে যাকে হয় ১ নয়তো ০ হতে হয়। কিন্তু কিউবিট একই সঙ্গে ১ ও ০ দুটোই হতে পারে। ইগল চিপে একশ’রও বেশি কিউবিট রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, কিউবিট তৈরি করা অত্যন্ত কঠিন এবং এটিকে ঠিক মতো পরিচালনা করতে বড় মাপের ‘ক্রায়োজেনিক রেফ্রিজারেটরের’ প্রয়োজন পড়ে।

আইবিএম বলছে, প্রতিষ্ঠানটি নতুন চিপ নির্মাণ থেকে যা শিখেছে তার সঙ্গে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের রেফ্রিজারেশন ও নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার সমন্বয় করলে, এক পর্যায়ে আরও বেশি কিউবিট উৎপন্ন করা সম্ভব হবে।

২০২২ নাগাদ চারশ’ ৩৩ কিউবিটের “অসপ্রে” চিপ এবং এক হাজার একশ’ ২১ কিউবিটের “কন্ডোর” চিপ তৈরির পরিকল্পনার রয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের ভাষ্যে, ওই পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি “কোয়ান্টাম সুফলের” কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। মূলত ওই পর্যায়েই ক্লাসিকাল কম্পিউটারকে পেছনে ফেলবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার।

আইবিএম-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ডারিও গিল জানিয়েছেন, ক্লাসিকাল কম্পিউটারকে পেছনে ফেললেও রাতারাতি সেগুলোর জায়গা নেবে না কোয়ান্টাম কম্পিউটার। এর বদলে আইবিএম এমন একটি বিশ্বের কথা ভাবছে যেখানে কম্পিউটিং কাজের কিছু অংশ গতানুগতিক চিপে চলবে। আর কিছু অংশ কোয়ান্টাম চিপে চলবে-- যে কাজের জন্য যেটি ভালো হবে, সেটিই ব্যবহার করা হবে।