Published : 23 Jun 2025, 10:09 AM
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এ যুগে ডিপফেইক, সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো টুল ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা অনলাইনে আরও বেশি প্রতারণা চালাচ্ছে।
এ প্রতারণা বা স্ক্যামগুলো সাধারণ ফিশিং ইমেইলের বাইরেও অনেক বিস্তৃত। অপরাধীরা এখন বিশ্বস্ত কোম্পানি, বন্ধুবান্ধব এমনকি প্রিয়জনদের ছদ্মবেশ ধারণ করে, যার ফলে সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক সাইট ম্যাকাফি বলছে সাধারণ পাঁচটি বিষয় লক্ষ্য করলে অনলাইন স্ক্যামারকে চেনা অনেকটাই সহজ হয়। এগুলো হল-
১. হঠাৎ যদি ‘মোটা অংকের নগদ অর্থ জিতেছেন’ এমন কোনো মেসেজ পান তবে উত্তেজিত হয়ে স্ক্যামারের ফাঁদে পা দেবেন না। তারা এমন প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাংকের গোপন তথ্য চেয়ে থাকে।
২. স্ক্যামাররা প্রায়ই গিফট কার্ড, মানি অর্ডার, ক্রিপ্টোকারেন্সি (যেমন বিটকয়েন) ব্যবহার করে অথবা কোনও নির্দিষ্ট মানি ট্রান্সফার পরিষেবার মাধ্যমে অর্থ প্রদান করতে বলবে। স্ক্যামাররা এমন মাধ্যমে টাকা দিতে বলবে যা গ্রাহকদের সুরক্ষা দেয় না।
৩. বিভিন্ন আইনি ভয় দেখিয়ে তারা আতঙ্কিত করার চেষ্টা করতে পারে। অথবা পরিবারের বিপদে থাকা সদস্যের ভান করে টাকার প্রয়োজনীয়তা দেখাতে পারে।
৪. অনেক স্ক্যামার সরকারি সংস্থার অংশ বলে ছদ্মবেশ ধারন করে। অপরাধীরা এমনকি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনার কলার আইডিতে তাদের ফোন নম্বরগুলোকে বৈধ দেখাতে পারে। তারা ভয় দেখানোর জন্য কিছু বলবে, যেমন যদি তাদের এখনই টাকা না দেন তবে আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
৫. পেশাদার ইমেইল সুলিখিত, স্পষ্ট এবং ত্রুটিমুক্ত। অন্যদিকে, স্ক্যাম ইমেইলগুলি ব্যাকরণ, বানান এবং বিরামচিহ্নের ভুলে ভর্তি থাকবে। কেও যদি ব্যাকরণগত ভুলগুলো শনাক্ত করার জন্য যথেষ্ট মনোযোগী হন, তাহলে তারা স্ক্যামের ফাঁদে পড়বেন না।
যে স্ক্যামগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত
কিছু সাধারণ স্ক্যাম রয়েছে যেগুলো সাইবার অপরাধীরা প্রায়ই করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুলো হলো- ফিশিং, ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স, পরিবারের সদস্য সেজে, অ্যাডভান্স ফি, টেক সাপোর্ট, ভুয়া ই-কমার্স সাইট, ভুয়া অ্যান্টিভাইরাস, ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করে দেয়া ইত্যাদি।
যদি কোনো অনলাইন প্রতারণার শিকার হন, তাহলে দ্রুতই স্থানীয় পুলিশ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে অভিযোগ করার চেষ্টা করুন। এতে অনাকাঙ্খিত ঘটনার দায় নেয়া থেকে রক্ষা পেতে পারবেন এবং সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
শুধুমাত্র অনলাইন স্ক্যাম শনাক্ত করা শেখার মাধ্যমে, সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে শক্তিশালী করা সম্ভব।