Published : 29 Jun 2025, 06:17 PM
আন্তর্জাতিক আণাবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, বোমা বানানোর জন্য ইরানের মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরুর সক্ষমতা আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, মার্কিন সেনাদের হামলায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা (আইএইএ) বলছে, এ হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার মারাত্মক ক্ষতি হলেও তা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
আইএইএ-র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের হামলায় একাধিক পারমাণবিক স্থাপণা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও ইরান কয়েকমাসের মধ্যেই কয়েকটি সেন্ট্রিফিউজ় চালু করতে পারে এবং সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করতে সক্ষম হতে পারে।
“ইরান এখনও শিল্প এবং প্রযুক্তিগত ভাবে সমৃদ্ধ...। তাই তারা চাইলে এখনও ওই কাজ চালিয়ে যেতে পারে,” বলেন তিনি।
বিবিসি জানায়, শনিবার সিবিএস নিউজ-কে গ্রোসি এও বলেছেন, “আসলে কেউ-ই দাবি করতে পারে না যে, সব কিছু (পারমাণবিক স্থাপনা) পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সেখানে আর কিছুই নেই।”
গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক এবং সামরিক ঘাঁটিতে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতেই ওই আক্রমণ বলে দাবি করেছিল তেল আবিব।
যদিও ইরান বরাবরই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। কিন্তু ইসরায়েলের সঙ্গে পরে যুক্তরাষ্ট্রও যোগ দিয়ে তেহরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
তখন থেকেই পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, তাদের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েকবছর পিছিয়ে গেছে।
তবে আইএইএ-র প্রধান বলছেন, ইরানে এখনও কিছু পারমাণবিক স্থাপনা টিকে আছে। কেবল আইএইএ-ই নয়, পেন্টাগনের একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি হয়ত কেবল কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া গেছে।”
আবার হামলার আগে ইরান তাদের উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিতে পেরেছিল কি না সেটিও এখনও প্রশ্ন হয়ে আছে।
সিবিএস নিউজের সাক্ষাৎকারে গ্রোসি বলেন, “আমরা জানি না এই উপাদান (ইউরেনিয়াম) এখন কোথায়। কিছু হয়ত হামলায় ধ্বংস হয়েছে। আবার কিছু সরানোও হয়ে থাকতে পারে। পরে হয়ত বিষয়টি স্পষ্ট হবে।”