Published : 10 Oct 2023, 11:44 AM
চীন সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের একটি শরণার্থী শিবিরে গোলা হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সামরিক বাহিনী ফের দেশটির ক্ষমতা নেওয়ার পরে থেকে এটি বেসামরিকদের ওপর চালানো অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা।
মঙ্গলবার গণমাধ্যম ও নিজস্ব কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে এ হামলার খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সোমবার মধ্যরাতের একটু আগে দেশটির কাচিন রাজ্যে গোলাবর্ষণের এই ঘটনা ঘটে। ওই সময় সীমান্ত শহর লাইজায় কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্ট আর্মির (কেআইএ) একটি ঘাঁটি থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে শরণার্থী শিবিরটিতে গোলা এসে পড়ে। কেআইএ বহু বছর ধরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে।
কাচিনের সংবাদ মাধ্যমগুলো গোলা হামলার জন্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে দায়ী করে বলেছে, এ হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছে।
নিহতের এ সংখ্যা রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি আর ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য জানতে তারা তাৎক্ষণিকভাবে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও কেআইএর মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।
কাচিন পিস নেটওয়ার্ক সিভিল সোসাইটি গ্রুপের স্থানীয় আন্দোলনকারী খোন জা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ঘটনার পর তিনি স্থানীয় হাসপাতালে গিয়েছিলেন, তাকে জানানো হয়েছে ২৯ জন নিহত ও ৫৯ জন আহত হয়েছেন।
“বোমাটি (গোলা) অনেক শক্তিশালী ছিল। গ্রামটি (শরণার্থী শিবির) পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে,” বলেছেন তিনি।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে মিয়ানমারজুড়ে ব্যাপক অস্থিরতা চলছে। দেশটির সংখ্যালঘু জাতিগুলোর বিদ্রোহী সশস্ত্র বাহিনীগুলো ও দেশটির বিরোধীদলের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ আন্দোলন সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা থেকে হটানোর চেষ্টায় লড়াই করে চলছে।
এসব লড়াইয়ে বহু লোক হতাহত হওয়ার পাশাপাশি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।