Published : 10 Sep 2022, 12:12 PM
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে কেবল তার দেশ-জাতি ও স্বজনদের মধ্যেই শূন্যতা তৈরি হয়নি, একা হয়ে গেছে তার কাছের চার সঙ্গীও।
মৃত্যুর পরে কী কী করতে হবে, জীবদ্দশাতেই দীর্ঘসময় ধরে সেই সব রাজকীয় আনুষ্ঠানিকতার পরিকল্পনা দিয়ে গিয়েছিলেন রানি। কিন্তু প্রিয় চারটি কুকুরের ভবিষ্যৎ নিয়ে রানি সুস্পষ্টভাবে কিছু বলে গেছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
৯৬ বছর বয়সে গত বৃহস্পতিবার মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ব্রিটেনের ইতিহাসে তার রাজত্বই ছিল সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী।
রানির বড় ছেলে চার্লসকে ইতোমধ্যে রাজা ঘোষণা করা হয়েছে। রানির বদলে রাজা আসার পর অনেক কিছুই বদলাতে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে। এর মধ্যেই তার কুকুরগুলোর ভবিষ্যৎ জানার চেষ্টা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যাওয়ার সময় তার পোষা চারটি কুকুর ছিল বলে খবর পাওয়া যায়।
আমেরিকান কেনেল ক্লাবের তথ্য অনুযায়ী, রানির দুটি পেমব্রোক ওয়েলশ কার্গিস ছিল, যাদের রানি আদর করে ডাকতেন মুইক ও স্যান্ডি। দোআঁশলা একটি ডর্গি কুকুর ছিল তার, যার নাম ক্যান্ডি। আর এই বছরের জানুয়ারিতে এই কুকুরের পালে যোগ হয় একটি ককার স্প্যানিয়েল, নাম তার লিসি।
দ্বিতীয় এলিজাবেথ: যার আলোয় উজ্জ্বল হয়েছে ব্রিটিশ সিংহাসন
এলিজাবেথের কুকুর প্রেম আজকের নয়। শৈশবে বাবা ষষ্ঠ জর্জের কুকুর ‘ডুকি’কে নিয়ে ছিল তার মাতামাতি। ১৯৪৪ সালে অষ্টাদশ জন্মদিনে তিনি উপহার পান পেমব্রোক ওয়েলশ কর্গি কুকুরছানা, সেটির নাম দেওয়া হয় সুসান।
এই কুকুরটির প্রতি রানির এমনই মায়া ছিল যে ১৯৪৭ সালে মধুচন্দ্রিমাতেও যাওয়ার সময়ও সুসানকে ছাড়েননি তিনি। রানির পোষা এই প্রাণিটির মৃত্যু হয় ১৯৫৯ সালে।
রানি তার বোন প্রিন্সেস মার্গারেটের ‘ড্যাচসুন্ড’ জাতের কুকুরের সঙ্গে নিজের ‘কর্গি’ কুকুরের বন্ধু্ত্ব পাতিয়ে দেন। এতে ‘ডরগি’ নামের একটি হাইব্রিড জাতও তৈরি হয়।
রাজকীয় জীবনীকার এবং ম্যাজেস্টি ম্যাগাজিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জো লিটল সিএনএনকে বলেন, তিনি মনে করেন রানির দুই ছেলে মেয়ে প্রিন্সেস অ্যান এবং প্রিন্স অ্যান্ড্রু মায়ের কুকুরগুলো দত্তক নেওয়ার আগ পর্যন্ত সেগুলোর যত্ন-আত্তি প্রাসাদের কর্মীরাই করবেন।
এই জীবনীকার জানান, প্রিন্সেস অ্যানেরও ‘করগিস’ কুকুর ছিল। আর নতুন কুকুর দুটিই ডিউক অব ইয়র্কের (প্রিন্স এন্ড্রু) মেয়েদের কাছ থেকেই আনা হয়েছিল। তাই ধারণা করা যায়, কুকুরগুলোকে সেখানেই পাঠান হবে।
রানির তার গোটা জীবনে বিভিন্ন সময়ে কয়েক ডজন কর্গি পুষেছেন। রিডার্স ডাইজেস্ট বলছে, রানি মনে করতে কর্গিস জাত শক্তি এবং অদম্য চেতনার অধিকারী। তাই কর্গিসের প্রতিই রানির টান ছিল বেশি।