Published : 03 Jul 2025, 10:08 AM
ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলের গ্রামীণ এলাকায় একটি পটকা ও আতশবাজির গুদামে আগুন ও বড় ধরনের বিস্ফোরণের পর থেকে সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্যটির রাজধানী স্যাক্রামেন্টো থেকে প্রায় ৬৪ কিলোমিটার পশ্চিমে ইয়োলো কাউন্টির এসপার্টো এলাকায় ঘটনাটি ঘটে, বুধবার জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রয়টার্স স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রদর্শিত ভিডিও ফুটেজের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বিস্ফোরণে বজ্রপাতের মতো আগুনের গোলা উঠে গিয়ে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে আর তাতে গুদামের মতো বড় একটি ভবন টুকরো টু্করো হয়ে যায়।
বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে ঘন কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডুলি উঠতে থাকে, তার মধ্যেই কয়েক ডজন ছোট ছোট বিস্ফোরণ ঘটে।
ধারণা করা হচ্ছে, আতশবাজির গুদামে লাগা আগুন থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে আগুন কীভাবে লেগেছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।
ক্যালিফোর্নিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ফরেস্ট্রি এন্ড ফায়ার প্রটেকশনের মুখপাত্র জেসন ক্লে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে আশপাশের ৭৮ একর এলাকার গাছপালা পুড়ে যায়।
এসপার্টো ফায়ার প্রটেকশন ডিস্ট্রিক্ট এর দমকল প্রধান কার্টিস লরেন্স ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর বুধবার এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, ঘটনার শুরুতে আহত হওয়া দুইজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে আর আরও সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার ফায়ার মার্শালের দপ্তর আগুন ও বিস্ফোরণের কারণ বের করতে তদন্ত শুরু করেছে বলে লরেন্স জানিয়েছেন।
৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের তিন দিন আগে ঘটনাটি ঘটল। এই দিনটি উদযাপনে সাধারণত ব্যাপক আতশবাজির প্রদর্শনী হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে হঠাৎ হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটতে থাকায় দমকল ও অন্য জরুরি বিভাগগুলোর কর্মীরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান নিয়ে আছেন। এখনো তাজা থাকা আতবাজির কারণে সেখানে কতোটা ঝুঁকি বিরাজ করছে তা নির্ধারণের চেষ্টা করছেন তারা।
লরেন্স জানিয়েছেন, জরুরি উদ্ধারকারী দলগুলো ঘটনাস্থলের উপর দিয়ে ড্রোন উড়াচ্ছে ও বিমান নিয়ে টহল দিচ্ছে। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ও নিখোঁজদের পরিণতি বোঝার চেষ্টা করছে।
যারা নিখোঁজ রয়েছেন তারা ওই স্থাপনাটির কর্মী না আশপাশে থাকা লোকজন, তা জানাতে কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। লরেন্স শুধু জানিয়েছেন, দমকল বা অন্য কোনো জরুরি কর্মীদলের কেউ হতাহত হয়নি।
ঘটনাস্থলের আশপাশের একটি নির্ধারিত এলাকা থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার প্রায় ১৫০টি বাড়ি ও কৃষিখামার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
লরেন্স ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনাটিকে একটি সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত আতশবাজির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্ণনা করেছেন যেখানে আতশবাজি বিক্রি করা হতো। তবে এখানে শুধু আতশবাজির গুদাম ছিল, না কারখানাও ছিল, তা পরিষ্কার হয়নি।