Published : 07 Jun 2025, 10:22 PM
২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের চালানো হামলার সময় জিম্মি হওয়া এক থাই নাগরিকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
তিনি বলেন, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে শুক্রবার বিশেষ অভিযান চালানোর সময় থাই নাগরিক নাত্তাপং পিন্টার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
৩৫ বছর বয়সী নাত্তাপং ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষিশ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। তিনি অপহৃত হয়েছিলেন।
ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, নাত্তাপং সম্ভবত জিম্মি হওয়ার প্রথম কয়েকমাসের মধ্যেই নিহত হয়েছেন। রাফায় অভিযান চালানোর আগে তিনি বেঁচে ছিলেন না মারা গিয়েছিলেন তা জানা যায়নি।
এ সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েল গাজা থেকে দুই ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধারের পর এই থাই জিম্মিকে উদ্ধারের কথা জানাল।
ইসরায়েলের সামরিক কর্মকর্তা জানান, নাত্তাপংয়ের ছোট একটি সন্তান আছে। তিনি থাইল্যান্ডে তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার জন্য দক্ষিণ ইসরায়েলের কিব্বুজ নির ওজ -এ কাজ করতেন। মুজাহিদীন ব্রিগেডের যোদ্ধারা তাকে ধরে নিয়ে যায়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ধরা পড়া এক সন্ত্রাসী’ কে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাত্তাপংয়ের দেহ উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।
শনিবার তার দেহ উদ্ধারের খবর পাওয়ার পর বিবিসি নাত্তাপংয়ের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। তিনি কোনও জবাব দেননি। তবে তার সন্তানের কান্নার একটি ছবি টেক্সট করেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় জিম্মি হওয়া থাই নাগরিকদের মধ্যে নাত্তপংই সর্বশেষ জিম্মি ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।
এর আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি চলার সময় পাঁচ জন থাই জিম্মি মুক্তি পেয়েছিলেন। তারা সবাই জীবিত।