Published : 21 May 2025, 03:21 PM
রুশ বাহিনী গত মাসে কুর্স্ক থেকে ইউক্রেইনের সেনাদের হটিয়ে দেওয়ার পর চলতি সপ্তাহে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমের এ অঞ্চলটি সফর করেছেন।
মঙ্গলবার এ সফরের সময় পুতিন অঞ্চলটিতে ক্রিয়াশীল স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেখা করেন এবং কুর্স্ক-২ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন, জানিয়েছে ক্রেমলিন।
স্বেচ্ছাসেবক এবং ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আলেক্সান্ডার খিনশতিনসহ স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুতিনের সাক্ষাতের দৃশ্য দেখিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। ক্রেমলিন ফার্স্ট ডেপুটি চিফ অব স্টাফ সের্গেই কিরিয়েঙ্কো এ সফরে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গী হয়েছিলেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়া গত মাসের শেষদিকে জানায়, তারা ইউক্রেইনীয় বাহিনীকে কুর্স্ক থেকে হটিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রুশ ভূখণ্ডে হওয়া সবচেয়ে বড় সামরিক অনুপ্রবেশের ইতি টেনেছে।
ইউক্রেইনে বসবাসরত রুশ ভাষাভাষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত ও প্রতিবেশী দেশ থেকে ‘নব্য নাৎসিদের হটাতে’ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো তাদের ভাষায় ইউক্রেইনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ নামে।
দুই পক্ষের মধ্যে ওই লড়াই এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যে রাশিয়ার দখলে গেছে যুদ্ধপূর্বর্তী ইউক্রেইনের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা। যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন জোর উদ্যোগ নিলেও এখন পর্যন্ত বলার মতো কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
ইউক্রেইনের নতুন অঞ্চল কব্জায় নিতে রাশিয়া শিগগিরই নতুন আক্রমণ শুরু করতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কাও করছেন।
রুশ ‘সর্বাত্মক অভিযান’ শুরুর আড়াই বছরের মাথায় বিপুল পরিমাণ ড্রোন ও ভারি পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আচমকা এক আক্রমণে গত বছরের অগাস্টে কুর্স্কের বেশকিছু অঞ্চল দখলে নিয়ে নিয়েছিল কিইভ। একপর্যায়ে তারা রাশিয়ার এ অংশের প্রায় এক হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলে নেওয়ারও দাবি করেছিল।
এরপর এই ফ্রন্টে ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের যোগ দিতে দেখা যায়।
গত বছরের নভেম্বরেই কিইভের সেনাদের হাত থেকে অনেক এলাকা পুনর্দখল করে নেয় মস্কো। তাদের পাল্টা আক্রমণে এ বছরের এপ্রিলে এসে এলাকাটি ছাড়তে বাধ্য হয় ইউক্রেইনের সেনারা।