Published : 20 Jun 2025, 08:36 PM
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সংঘাত চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন ইরানে হামলা চালানো নিয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
তার এই ঘোষণার পরই কূটনৈতিক চেষ্টা নিয়ে ইরানের সঙ্গে জেনিভায় আলোচনায় বসেছে ইউরোপের তিন দেশ— যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।
শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে এই তিন দেশের প্রতিনিধিরা। এর সঙ্গে বৈঠকে আছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরাও। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের একটি কূটনৈতিক সমাধানের আশা নিয়ে এই বৈঠক করছেন তারা।
ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করে, বৈঠকে তা নিয়ে ইউরোপীয় এই তিন দেশ চাপ আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে আগের একটি বৈঠকের সিদ্ধান্ত থেকে তেমন আভাসই মিলছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় ইরানের সঙ্গে বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প সরকারের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে বৈঠক করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।
এরপর ল্যামি একটি বিবৃতিতে জানান, সংঘাত বন্ধ করতে ইরানের একটি পারমাণবিক চুক্তি করা উচিত বলে আলোচনায় উঠে এসেছে। পরে রুবিও এবং ল্যামি দুইজনেই বিবৃতিতে একমত পোষণ করেন যে, ইরানের হাতে কখনও পরমাণু অস্ত্র থাকা উচিত না।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানের ওপর ব্যাপক সামরিক হামলা চালানোর পর থেকে এই দুই দেশের মধ্যে একের পর এক পাল্টাপাল্টি হামলা চলার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কায় ইউরোপীয়রা জেনিভায় বৈঠকের এই উদ্যোগ নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে ইরান ও ইউরোপের আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য হল, ইরানকে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালনার বিষয়ে পাকাপাকিভাবে নিশ্চয়তা দিতে রাজি করানো। এরপর বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে একটি কাঠামোগত আলোচনা শুরু হবে। বৃহস্পতিবার এমনটিই জানিয়েছিলেন এক জার্মান কূটনৈতিক কর্মকর্তা।
ইসরায়েল বলছে, তাদের লক্ষ্য ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা হারায়। তবে তেহরান বরাবরই বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সামরিক উদ্দেশ্যে নয়, কেবল শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।