Published : 17 May 2025, 11:17 PM
কিইভের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আগে মস্কোর দাবিকৃত সবগুলো ইউক্রেইনীয় অঞ্চল থেকে দেশটির সৈন্যদের ফিরিয়ে নিতে হবে বলে দাবি করেছেন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় যোগ দেওয়া রাশিয়ার আলোচকরা।
শুক্রবারের এই আলোচনার বিষয়ে জ্ঞাত ঊধ্বর্তন এক ইউক্রেইনীয় কর্মকর্তা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন।
২০২২ সালের মার্চের পর থেকে এই প্রথম যুদ্ধরত এই দুই দেশ মুখোমুখি বৈঠকে বসে। বৈঠকে রাশিয়া যে দাবি তুলেছে সে বিষয়ে ক্রেমলিন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি, জানিয়েছে রয়টার্স।
ইস্তাম্বুলে দুই পক্ষের আলোচনা মাত্র এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট স্থায়ী হয় আর এতে উভয়পক্ষ এক হাজার জন করে যুদ্ধবন্দি একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করার চুক্তি করে। তবে এই বন্দি বিনিময় কবে হবে দুই দেশ তা নিশ্চিত করেনি।
ইউক্রেইন রাশিয়াকে অবিলম্বে, শর্তহীন ৩০ দিনের এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। রাশিয়াকে এ প্রস্তাবে সম্মত হতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
কিন্তু ইউক্রেইনের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মস্কোর আলোচকরা দোনেৎস্ক, জাপোরিজিয়া, খেরসন ও লুহানস্ক থেকে ইউক্রেইনীয় সেনাদের প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে বলেছে, শুধু এরপরই একটি যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে।
তিনি জানান, মস্কোর সঙ্গে পরামর্শ করার পর গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র যে খসড়া শান্তি চুক্তি প্রস্তাব করেছিল এই দাবি ও অন্যান্য দাবি তার শর্তাবলীর বাইরে চলে গেছে।
ইউক্রেইনের এই ভাষ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ। তিনি বলেছেন, “আলোচনা পুরোপুরি রুদ্ধদ্বার কক্ষে হওয়া উচিত।”
তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী পদক্ষেপগুলো হবে যুদ্ধবন্দি বিনিময় বাস্তবায়ন করা ও দুই পক্ষের মধ্যে আরও কাজ পরিচালনা করা।
পেশকভ বলেছেন, শুধুমাত্র যদি ‘নির্দিষ্ট চুক্তিগুলোতে পৌঁছানো যায়’ তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হতে পারেন। শুধুমাত্র দুই পক্ষের মধ্যে কাজের ফলে ‘চুক্তির আকারে নির্দিষ্ট ফলাফল অর্জন করা গেলে’ এ ধরনের একটি বৈঠক সম্ভব বলে বিবেচনা করে রাশিয়া।
তবে পেশকভ তার এসব মন্তব্য নিয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।
রয়টার্স লিখেছে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পুতিনকে তুরস্কে তার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন, কিন্তু রাশিয়ার নেতা তা অগ্রাহ্য করেন।
তুরস্কে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, তার দেশ মধ্যস্থতার ভূমিকা অব্যাহত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
আরও পড়ুন:
‘নির্দিষ্ট চুক্তিগুলোতে পৌঁছানো গেলেই’ জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন পুতিন