Published : 26 Jun 2025, 11:25 PM
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের ডেমোক্র্যাটিক মেয়র প্রাইমারিতে জয় পাওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান মামদানি প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হতেই তাকে নিশানা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
মামদানির চেহারা, কণ্ঠস্বর ও মনোজগত সবকিছু নিয়েই ব্যক্তিগতভাবে তাকে আক্রমণ করেছেন তিনি। বলেছেন, জোহরান মামদানি ‘শতভাগ পাগল কমিউনিস্ট,’ ‘দেখতে ভয়ানক’ আর ‘স্মার্টও নন’।
মামদানি নিউ ইয়র্ক রাজ্য আইনসভার একজন নির্বাচিত আইনপ্রণেতা। ভারতের নামকরা চিত্রপরিচালক মীরা নায়ারের ছেলে তিনি। নিউ ইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাইমারির প্রচারণায় প্রায় অপরিচিত হিসেবেই যোগ দিয়েছিলেন মামদানি।
কিন্তু গত মঙ্গলবারের প্রাইমারির ৯৫ শতাংশ ব্যালট গণনার পর দেখা যায়, প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক বেশি ডেমোক্র্যাট ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন মামদানি। তবে মূল নির্বাচন এখনও বাকি। সেই নির্বাচনে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়তে হবে তাকে।
নির্বাচিত হলে ৩৩ বছর বয়সী মামদানিই হবেন নিউ ইয়র্কের সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম মুসলিম মেয়র। তার আগে প্রাইমারিতে তিনি জয়ী হওয়াতেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ভারতীয় পত্রিকা এনডিটিভি জানায়, ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ এক পোস্টে লিখেছেন, “শেষ পর্যন্ত সেটাই ঘটেছে। ডেমোক্র্যাটরা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ১০০% কমিউনিস্ট পাগল মামদানি ডেম (ডেমোক্র্যাট) প্রাইমারি জিতেছে।
এখন মেয়র হওয়ার পথে। আমাদের দেশে আগেও উগ্র বামপন্থিরা ছিল। কিন্তু এটা একটু উদ্ভট। তাকে ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে, তার কণ্ঠস্বর কাঁপছে। তিনি খুব একটা ‘স্মার্ট’ নন।”
কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যদের যারা জোহরান মামদানিকে সমর্থন করেছেন তাদেরকেও ট্রুথ স্যোশালের আরেক পোস্টে উপহাস করেছেন ট্রাম্প। জোহরানকে সমর্থন দেওয়া নিয়ে আরেক পোস্টে তিনি বিদ্রুপ করেন।
মামদানির জন্ম উগান্ডার কাম্পালায়। তবে বেড়ে ওঠা নিউ ইয়র্কে। তার বাবা মাহমুদ মামদানি একজন উগান্ডান নাগরিক হলেও ভারতে শেকড় রয়েছে তার পরিবারের।
মামদানি নিউ ইয়র্কের মেয়র প্রার্থী হিসেবে মার্কিন সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ও ডেমোক্র্যট প্রতিনিধি আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজের সমর্থন পেয়েছেন।
মামদানি ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে ইসরায়েলপন্থি গোষ্ঠীগুলোর সমালোচনার শিকার হয়েছেন। তাকে নিয়ে ভারতেও আলোচনা এবং বিতর্ক চলছে।