Published : 19 Mar 2024, 09:03 AM
ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাস নেতা মারওয়ান ঈসার মৃত্যু হয়েছে বলে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তা জেইক সালিভান জানিয়েছেন।
ঈসা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ আল-দ্বীন আল-কাসাম ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার। তার মৃত্যু হলে তিনি হবেন ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়া হামাসের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ নেতা।
কিন্তু গাজা শাসনকারী হামাস ঈসার মৃত্যুর বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইসরায়েলের গণমাধ্যমের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ৯ মার্চ রাতে গাজার মধ্যাঞ্চলে আল-নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের ভূগর্ভস্থ একটি টানেল লক্ষ্য করে চালানো ইসরায়েলের বিমান বিমান হামলায় ঈসা নিহত হন।
রয়টার্স জানিয়েছে, ঈসা তার চোখের আড়ালে থাকার সামর্থ্যের কারণে ‘ছায়া মানব’ নামে পরিচিত। হামাসের যে তিনজন শীর্ষ নেতা ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর চালানো নজিরবিহীন হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি তাদের একজন। ওই হামলা গাজা যুদ্ধের সূচনা করে আর তারপর থেকে হামাসের সামরিক অভিযান এই তিনজনই পরিচালনা করে আসছেন বলে ধারণা করা হয়।
ইসরায়েল হন্য হয়ে হামাসের যে নেতাদের খোঁজ করছে ঈসা তাদের অন্যতম বলে মনে করা হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) হামাসের এই নেতার নাম তাদের সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে রেখেছে। ৭ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে ঈসা সরাসরি জড়িত বলে মনে করে ইইউ।
ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তিফাদার সময় ঈসাকে গ্রেপ্তার করেছিল ইসরায়েল। তখন তারা তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। এরপর ১৯৯৭ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে ২০০০ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরুর আগ পর্যন্ত অন্তরীণ করে রাখে।
৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হামাসের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যা করেছে। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক বিস্ফোরণে হামাসের রাজনৈতিক নেতা সালেহ আল-আরৌরি নিহত হন। এই হামলার জন্য ইসরায়েল দায়ী বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়।
হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সালিভান জানান, হামাসের অন্য নেতারা ‘সম্ভবত গাজায় হামাসের টানলে নেটওয়ার্কের গভীরে’ পালিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতাদের খোঁজে ইসরায়েলের অব্যাহত অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: