Published : 31 Oct 2023, 01:06 PM
ভারতের কেরালা রাজ্যে খিস্ট্রান ধর্মাবলম্বী জিহোভাপন্থীদের সম্মেলনে প্রাণঘাতী সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার কেরালার এর্নাকুলম জেলার কালামাসেরির এক কনভেনশন সেন্টারে ওই ধর্মীয় সম্মেলনে কয়েক দফা বিস্ফোরণে তিনজন নিহত ও ৫০ জনেরও বেশি আহত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ডমিনিক মার্টিনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের আগে সে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে হামলার দায় স্বীকার করে এবং পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
বিবিসি জানিয়েছে, কেরালার বন্দর শহর কোচি থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে কালামাসেরি শহরে ‘জিহোভার সাক্ষী’ বলে পরিচিত খ্রিস্টানরা তিন দিনব্যাপী ওই ধর্মীয় সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। সম্মেলনের তৃতীয় দিন বিস্ফোরণগুলো ঘটানো হয়, তখন সেখানে ২৩০০ জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
‘জিহোভার সাক্ষী’ গোষ্ঠীর আঞ্চলিক মুখপাত্র টিএ শ্রীকুমার স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, সম্মেলন চলাকালে হলের মাঝখানে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে, এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হলের দুইপাশে আরও দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে।
রোববারই সম্মেলনে যোগ দেওয়া দুই নারীর মৃত্যু ঘটে। এরপর সোমবার হাসপাতালে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ১২ বছর বয়সী এক বালিকার মৃত্যু হয়।
এসব বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর মার্টিন ফেইসবুকে একটি ভিডিও পোস্টে করে হামলার দায় স্বীকার করেন। তিনি নিজেকে ‘জিহোভার সাক্ষী’ গোষ্ঠীর সাবেক সদস্য বলে দাবি করেছেন। গোষ্ঠীর শিক্ষা নিয়ে অসন্তোষ ও ক্ষোভের কারণে তিনি বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেন বলে জানিয়েছেন।
কিন্তু শ্রীকুমার রয়টার্সকে বলেছেন, মার্টিন তাদের গোষ্ঠীর ‘তালিকাভুক্ত সদস্য ছিলেন না’।
পুলিশ জানিয়েছে, কেরালার বাসিন্দা মার্টিন মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ে ছিলেন। তার স্বীকারোক্তিতে আস্থা এনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে-ই এই অপরাধ করেছে বলে তাদের বিশ্বাস।
কোচির পুলিশ কমিশনার এ আকবর জানিয়েছেন, মার্টিন তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করছে।
এ বিস্ফোরণের ঘটনায় ভারতজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই দিল্লি, মুম্বাই ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
আরও পড়ুন: