Published : 29 Feb 2008, 06:30 AM
১.
সৈয়দ শামসুল হক
রাইসু: আপনার এই বছর কোনো বই বের হইছে কি?
হক: কেন, কাগজে দেখো নাই?
রাইসু: সবগুলি দেখি নাই, একটা দেখছি আপনার জেসমিন রোড।
হক: দুরো প্রত্যেকটা ইয়েতে…কাগজ তো দেখো না! তোমার হোমওয়ার্ক নাই তো। তুমি কী সাংবাদিকতা করো! হে? ঐ? সব কাগজে বাইরাইছে। টেলিভিশনে সবসময় বলি। এত করলাম, তুমি বলো জেসমিন রোড! জেসমিন রোড তো একটা পুরানো রিপ্রিন্ট।
রাইসু: তো, আপনি যদি বলতেন আপনার বই সম্পর্কে।
হক: বই সম্পর্কে তো না, তালিকা দিতে পারি।
রাইসু: তালিকা দিতে পারেন আর যদি অল্প কইরা বইগুলা সম্পর্কে কিছু বলেন আর কি।
হক: না বইগুলো সম্পর্কে কিছু বলার নাই। বই তো বইই। এই যেমন ধরো কবিতার বই। কবিতার বই বেরিয়েছে, অনন্যা প্রকাশ করেছে এটা। বইয়ের নাম হচ্ছে আমার সমাধি কালের প্রসাধন। এই কবিতার বই।
রাইসু: এটা কি নতুন কবিতার বই না পুরোনো কবিতার সংকলন।
হক: একদম বইমেলার সাত দিন আগে লেখি নাই। গত এক বছরে যা লিখেছি। নতুন কবিতার বই তো বটেই। নতুন কবিতার বই বলেই তো বলছি। নাহলে রিপ্রিন্ট তো প্রায় দশ বারোটা বই হয়েছে।
রাইসু: না একটা হয় রিপ্রিন্ট আর একটা হচ্ছে পুরানা কয়েকটা কবিতার বই থেকে কিছু নিয়া আবার করলেন বই সেরকম?
হক: সেরকমের যারা করে তাদের সঙ্গে তো আমার…আমি সে রকম করি না। যাই হোক এত বলার দরকার নেই। তারপরে গল্পের বই জলেশ্বরীর গল্পগুলো।
রাইসু: আচ্ছা, এই নামে কি বের হয় নাই আগে বই?
হক: হ্যাঁ, ওইটা বেরিয়েছিল সে বহু আগে। সেখানে আট নটা গল্প ছিল। আর এখন তেইশটা গল্প। এটা সম্পূর্ণ একটি নতুন বই হিসাবেই…
রাইসু: বলা যায়।
হক: বলা যায় না। নতুন বইই।
রাইসু: এটা কারা বের করেছে?
হক: এটা করেছে তোমার জনতা প্রকাশন।
রাইসু: এদের কি বইমেলায় স্টল আছে?
হক: হ্যাঁ হ্যাঁ খুব বড় স্টল আছে। জনতা প্রকাশনের।
রাইসু: এখানে একদম নতুন কোনো গল্প আছে কি যেটা আগে কোথাও প্রকাশিত হয় নি?
হক: না একদম নতুন নেই। সবই বিভিন্ন সময় ওভার টেন টু ফিফটিন ইয়ারস জলেশ্বরী সম্পর্কে যতগুলো গল্প এ পর্যন্ত হয়েছে সেইগুলো এখানে একত্রে আছে।
রাইসু: আচ্ছা।
হক: আর হচ্ছে একটা প্রবন্ধের বই, এটা একুশে বাংলা করেছে, একুশে বাংলা। ওদের প্রবন্ধের বইয়ের নামটা হচ্ছে ফিরে এসো বাংলাদেশ। এতে রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক বিভিন্ন বিষয়ের উপরে আমার কিছু প্রবন্ধ এবং মন্তব্য ধরনের কিছু লেখা এখানে ছাপা হয়েছে।
রাইসু: এই তিনটা বই বের হইছে আপনার। আর পুনর্মুদ্রণ হইছে কী কী?
হক: না, আর একটা নতুন বই আছে তোমার দুটো ছোট উপন্যাস নিয়ে একটি বই। এটি করেছে ইত্যাদি প্রকাশন। এটা হচ্ছে তোমার ময়লা জামায় ফেরেশতারা। এই। আর রিপ্রিন্ট তো অনেক হয়েছে। এগুলো আমি ট্রেকও রাখি না।
রাইসু: আচ্ছা, বই থেকে কি আপনি কোনো পয়সা পান? মানে রয়ালিটি দেয় প্রকাশকরা ঠিকমত?
হক: ঠিকমত না, তবে পাই। হ্যাঁ পাই, পাই না তা না, পাই। কম বেশি পাই। তবে এটা একদম রীতিবদ্ধ তা বলা মুশকিল। রয়ালিটি এখনও রীতিবদ্ধ হয়নি এদেশে।
রাইসু: হওয়া দরকার তো।
হক: রয়ালিটির ব্যাপারে এখনো রীতিবদ্ধ কোনো ইয়ে নেই।
রাইসু: হক ভাই, আপনার লেখালেখির পদ্ধতিটা কী? প্রতিদিন কি লেখেন আপনি?
হক: মনে তো হয় প্রতিদিনই লিখি।
রাইসু: আর কোনো বই কি হইছে যে সামনে আসতেছে এমন?
হক: না, তবে রিপ্রিন্ট কিছু হয়েছে। অনেকগুলো হয়েছে, যেমন খেলারাম খেলে যা, জেসমিন রোড, দ্বিতীয় দিনের কাহিনী, বালিকার চন্দ্রযান। মানে এটা তো হতেই থাকে, এটা তো আমার বলার কিছু নাই।
রাইসু: আপনি কি ট্রেক রাখতে পারেন রিপ্রিন্টের, এটা তো আপনার রয়ালিটির সঙ্গে সম্পর্কিত।
হক: না জানায়, জানায়। যারা রিপ্রিন্ট করে তারা জানায়।
২৭/১/২০০৮
●●●
মুনতাসীর মামুন
রাইসু: আচ্ছা মামুন ভাই, এবার মেলায় আপনার কী কী বই বের হয়েছে এবং কতগুলো বই বের হয়েছে।
মামুন: কিছু বেরিয়েছে আর কিছু বের হয়নি।
রাইসু: বের হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বের হয় নি?
মামুন: এখনো আসেনি, আসবে হয়তো দুই একদিনের মধ্যে। একটা হচ্ছে অনন্যা থেকে গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ সপ্তম খণ্ড ও অষ্টম খন্ড।
রাইসু: এটা কি বের হয়েছে না হয় নি?
মামুন: একটা হয়েছে আর একটা বোধহয় আজকে আসছে। সপ্তম খণ্ড বের হয়েছে আর অষ্টম খণ্ড আজকে আসছে, এটা অনন্যা বলতে পারবে। আর বাংলাদেশের সংবাদ সাময়িকপত্র ।
রাইসু: এটা পুরনো বই?
মামুন: না না, এটা পুরনো বই না, দ্বাদশ এবং ত্রয়োদশ খণ্ড।
রাইসু: এটা কারা বের করতেছে?
মামুন: অনন্যা।
আর অনুপম করেছে সংবাদ-সাময়িকপত্রে ঢাকার নওয়াব পরিবার। তারপরে মাওলা করেছে ঢাকার স্মৃতি সপ্তম খণ্ড।
রাইসু: তবে অনেক বই তো লিখছেন মোটামুটি।
মামুন: আর ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আগেই একটা বেরিয়েছে, হাশেম খান আর আমার সম্পাদিত ঢাকার আলোকচিত্র ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১।
রাইসু: এটা কারা বের করেছে?
মামুন: মাওলা। আর মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপঞ্জি এটার চতুর্থ খণ্ড বের করেছে বাংলাদেশ চর্চা।
রাইসু: ওদের তো স্টল নেই নাকি?
মামুন: না ওদের স্টল নেই। এটা ইউপিএলের এবং সুভর্নের পরিবেশক। এটা আমরাই আমাদের কয়েকজন ছাত্র আমরা মিলে করেছি। আর বাংলাদেশ চর্চার চতুর্থ খণ্ড বের করেছে ইউপিএল।
রাইসু: একটা হইল বাংলাদেশ চর্চা থেকে বের হয়েছে ঐ বইটা যেটা বললেন, আর একটা হচ্ছে বাংলাদেশ চর্চা নামে একটা পত্রিকা?
মামুন: না, এটা আমাদের বছরে তিনটা কি চারটা সংকলন বের হয় বাংলাদেশ চর্চা এবং ইউপিএল বের করেছে যৌথভাবে। সেটা হচ্ছে চতুর্থ খণ্ড এবং এটা ১৮৫৭ এবং ১৭৫৭-উপর।
রাইসু: এটার মানে কী?
মামুন: মানে হচ্ছে পলাশীর যুদ্ধের উপরে স্পেশাল ইস্যু এবং এটা বই আকারে বেরিয়েছে।
রাইসু: এটার দাম তো অনেক বোধহয়?
মামুন: এটা একশ থেকে দেড়শত টাকা।
রাইসু: কৌই হ্যায় কারা বের করেছেন?
মামুন: কৌই হ্যায় বের করেছে 'সময়'।
রাইসু: এটা কি আসছে?
মামুন: হ্যাঁ আসছে এবং এটা অনেক বড় বই প্রায় ৫২৫ পৃষ্ঠার বই। আর একটা পরিবর্তিত হয়েছে নতুন ভাবে সেটা হলো সাহিত্য বিলাস করেছে বাচ্চাদের শরিয়তউল্লাহ, তিতুমীর ও দুদুমিয়ার লড়াই।
রাইসু: এইটা কি পুনর্মুদ্রণ?
মামুন: না এটা পুনর্মুদ্রণ ঠিক না। পরিবর্তিত নতুন ভাবে বেরিয়েছে, এগুলো আমার ছোট ছোট বই ছিল, সবগুলো একত্র করে নতুন ভাবে বেরিয়েছে। নতুন ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে।
রাইসু: তাহলে তো এটাকে নতুন বই বলা যায়?
মামুন: অবশ্যই অবশ্যই, আর বাচ্চাদের জন্য পুনর্মুদ্রিত করেছে হ্যান্স আন্ডেরসেনের গল্প।
রাইসু: এটা কারা করেছে?
মামুন: সাহিত্য বিলাস।
রাইসু: সাহিত্য বিলাসের স্টল আছে তো মেলায়?
মামুন: হ্যা স্টল আছে। আর পুনর্মুদ্রিত হয়েছে ফেস্টিবালস অব বাংলাদেশ, এটা বের করেছে আইসিবিএল। ইউপিএলের ওখানে পাওয়া যায় এটা।
রাইসু: আপনি এত বই লিখতে পারেন কী ভাবে?
মামুন: না সারা বছর কাজ করলে তো হবেই। আর আমি সভা-সেমিনারে তো খুব কম যাই এবং আড্ডা-টাড্ডাতে তো যাই না।
রাইসু: প্রতিদিন কি পরিমাণে সময় দেন লেখালেখির ব্যাপারে?
মামুন: আমার আসলে নির্দিষ্ট কোনো সময় নাই। তবে অফিসের ফাঁকে, যে কোনো কাজের ফাঁকে ফাঁকে, মানে সময় পাইলেই লিখতাম। কারণ আমার সময় খুব বেশি ছিল না।
রাইসু: আপনি তো শিক্ষকতা ছাড়া আর কিছু করতেছেন না। আপনি কি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে আছেন তো? এবং কোন বিষয় পড়ান আপনি?
মামুন: আমি ইতিহাসের অধ্যাপক।
রাইসু: আপনার শিক্ষকতার বয়স কত হলো?
মামুন: ৩৫ বছর এবং আমার অনেক ছাত্র আছে প্রফেসর ডিরেক্টর, সচিব হয়ে গেছে। আর ৩৫ বছর হওয়ার কারণ হলো আমি ছোট বেলায় মানে সাড়ে ২২ বছরের সময় চাকুরিতে ঢুকেছি।
রাইসু: আপনি ইতিহাস বিভাগেই ঢুকেছেন এবং আপনি পড়াশুনা করেছেন ইতিহাসে?
মামুন: শুরুতে আমাদের ১৬ থেকে ১৯ টা ক্লাস নিতে হয়েছে যা এখন কোনো লেকচারারকেই নিতে হয় না। তবে মনে রাখতে হবে ৩৫ বছরের আগের সমাজ আর এখনকার সমাজ এক নয়। আর আমি যেহেতু লেখালেখি করছি তবে আমার ওদিক থেকে সময়টা কম ছিল। তবে আমার একটা সোজা হিসাব আছে, সেটা হচ্ছে যে প্রতিদিন দু পাতা লিখলে বছরে ৬ থেকে ৭ শত পাতা লেখা যাবে।
রাইসু: এটা আপনি ঠিক করে নিয়েছিলেন?
মামুন: হ্যা এটা আমি ঠিক করে নিয়েছি এবং আমি ঐটা মেনে চলি।
রাইসু: এমনিতে আপনার গবেষণার জন্য কারো সাহায্য নেন কি?
মামুন: না সাহায্য নেই না। এই কারণে যে আমার কোনো আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না। আমার স্ত্রীর কারণে আমার স্বাচ্ছন্দ্য এসছে।
রাইসু: আপনার স্ত্রী কী করতেন?
মামুন: ব্যাংকে চাকুরি করতেন এবং সেই মোটামুটি সংসারের হাল ধরেছেন।
রাইসু: আর আপনি কি বই থেকে কোনো পয়সা পান না?
মামুন: না– কিছু কিছু প্রকাশক আছে বই নেয়, কিন্তু টাকার জন্য তাদেরকে অনেকবার বলতে হয়। একমাত্র সময় এবং ইউপিএলের মধ্যে প্রফেশনালিজম আছে।
রাইসু: এটাকি খালি আপনার বইয়ের ক্ষেত্রে?
মামুন: না আমি মনে করি এটা সবার ক্ষেত্রে। এটা একটা জরিপ করলে বোঝা যাবে এক। দুই নম্বর হচ্ছে অন্যরা যে টাকাটা দেয় না তা না। দেয়, পাঁচবার অনুরোধ করলে একবার দেয়। অথবা হঠাৎ করে একসময় এসে কিছু টাকা দিয়ে গেল। কিন্তু একবার দিয়ে গেলে তো আমি দুবছরের মধ্যে আর কিছু বলতে পারতেছি না। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, আমার বই বিক্রি কম হয়। সেই জন্য হয়তো রয়ালিটির ব্যাপারে আমি বলতেও পারি না বা প্রকাশকরাও হয়তো দেয় না। কিন্তু বই বের হয়। এই হচ্ছে ব্যাপার। আমি সৌভাগ্যবান সেই লেখক ১৯৬৮ সাল থেকে প্রতি বছরই যার বই বের হচ্ছে। আমার বই প্রথম বের করেছেন সত্যের সেন, দ্বিতীয় বইও সত্যের সেন।
রাইসু: আপনার প্রথম বই কোনটা?
মামুন: এটা বের হয়েছিল ১৯৬৮ সালে, বাচ্চাদের গল্পের বই।
রাইসু: তাহলে আপনার বই থেকে তেমন কোনো আয় হচ্ছে না?
মামুন: না বই থেকে আমার তেমন কোনো আয় নেই।
রাইসু: এটার ব্যাপারে কি কোনো কিছু করার কথা ভাবছেন কখনও?
মামুন: তবে যে একেবারে আয় হয় না তা বলা ঠিক হবে না বছরে কিছুনা কিছু টাকাতো আমরা পাই এখন আমার বইয়ের সংখ্যা হিসাবে যদি আমার রয়ালিটি আসতো তা হলে তো, মোটামুটি একজন ধনবান লেখকই হতাম। তবে সেটা না, বছরে কিছু একটা টাকা পাই। পত্রপত্রিকায় তো অনেকেই টাকা দেয় না। কিছুটায় দেয়, যেমন যুগান্তর, সমকাল, প্রথম আলো কখনো কখনো অনিয়মিতভাবে কিছু একটা টাকা দেয়। আর কোনো পত্রিকায় টাকা দেয় না। ফলে আগে যে ইনকামের সোর্সটা ছিল এখন সেটা নেই। কিন্তু কিছু একটা টাকা আসে। তবে বলতে হয়, অনুরোধ করতে হয়। এগুলো এখন আর ভালো লাগে না।
রাইসু: আপনার কি মনে হয় যে লেখকদের গিল্ড করা উচিত?
মামুন: এগুলি আমরা করেছি, লেখক শিবিরের একজন প্রতিষ্ঠাতা আমি।
রাইসু: আচ্ছা লেখকরা কি পয়সা কড়ির ব্যাপারে সংকোচ বোধ করে?
মামুন: না, সংকোচ না। আমি যে সব লেখক দেখেছি তাদের মধ্যে সাংগঠনিক অভাব। এবং লেখকদের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহ অবিশ্বাস খুব প্রবল। এবং যখনই এইটা মোটামুটি দাঁড়িয়ে যায় তখনই কোন্দলটা বাড়ে। তাই এইসব দেখে আমি এগুলো থেকে এখন দূরে আছি।
রাইসু: আর কোনো আশা নাই যে এ ব্যাপারে আগানো যাবে?
মামুন: না কিছু করা যাবে না।
রাইসু: তবে কি এই রকম শান্ত সমাহিত ভাবেই লেখকদের দিন যাবে?
মামুন: হ্যাঁ, লেখকদের কোনো ক্ষমতা নেই এখানে। সেই ধরনের আত্মসম্মানবোধও নেই। সম্মানবোধেরও অভাব।
রাইসু: প্রজেক্ট করার সমস্যা আছে।
মামুন: হ্যাঁ, প্রজেক্ট তো আর আমরা করি না। সেটা মিডিয়া এবং মিডিয়ার সঙ্গে যদি আঁতাত থাকে সেটা প্রজেক্টেড হয়।
রাইসু: এর বাইরে তো একটা শক্তি তৈরি হওয়া দরকার?
মামুন: এটা হবে না।
রাইসু: এই দেশে হবে না?
মামুন: হবে না যে তা তো ভবিষ্যৎবাণী করা যাবে না।
রাইসু: মানে যে ভাবে আছে সে ভাবে হলে হবে না?
মামুন: সম্ভাবনা কম, কারণ আমি আমার ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। তবে এখন যদি নতুনরা এসে বদলাতে পারে…।
রাইসু: না, যদি এই রকমের কোনো প্রকাশনা সংস্থা তৈরি করা যায় যে সম্পূর্ণ লেখকদের দ্বারা তৈরী একটি প্রকাশনা সংস্থা।
মামুন: না।
রাইসু: হবে না?
মামুন: কারণ তোমাদের থেকে আমাদের থেকে নামকরা লোকজন করে গেছে, ওগুলো দাঁড়ায় নি। আর দাঁড়ায়নি তার কারণ আমাদের লেখকরা প্রফেশনাল না। তারা পার্টটাইম লেখক এবং আমাদের লেখা থেকে যে আমরা আয় করে খাবো সেটার উপায় নাই। যে দিন আমি লেখা থেকে বাঁচতে পারব সেই দিন আমিও প্রফেশনাল হবো এবং আমি হয়তো কমিটেড কবো। এর আগে কোনো উপায় নাই।
২৫/১/২০০৮