Published : 14 Oct 2024, 03:17 PM
যেসব ছাত্র-জনতা জুলাই-অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ‘সক্রিয়ভাবে’ অংশ নিয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ‘মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না’ বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শেখ হাসিনার পতনের আগে ১৫ জুলাই থেকে সরকার পতনের পর ৮ অগাস্ট পর্যন্ত সংগঠিত গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারকে ‘স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার’ আখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, “এই সরকারের পতনের মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে এক নবযাত্রা সূচিত হয়েছে।
"এ গণঅভ্যুত্থানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে যেসব ছাত্র-জনতা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের মাঠে থেকে এর পক্ষে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই হতে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংগঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।"
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ‘সর্বোচ্চ সতর্ক’ থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়।
এছাড়া মামলা নিয়ে সরকারকে অসত্য তথ্য দিয়ে কোনো সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করলেও ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।
আন্দোলনের সময় হত্যা ও হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে এ পর্যন্ত প্রায় সতেরশ মামলায় তিন হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ৭৪ জন ‘হাই প্রোফাইল’ ব্যক্তি থাকার তথ্য দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
গণ আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তিন দিন পর ৮ অগাস্ট গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার।
এরপর একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে থাকা অন্যদলগুলোর নেতাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযানে গ্রেপ্তারের ওই সংখ্যা জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর বলেছিল, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্র-জনতা ও সাধারণ জনসাধারণের এক্ষেত্রে শঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই।
বিগত সময়ে ‘রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ’ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং তা চলমান রয়েছে।
পুরনো খবর
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন: ১৬৯৫ মামলা, ৭৪ প্রভাবশালীসহ গ্রেপ্তার তিন সহস্রাধিক