Published : 08 Aug 2023, 08:21 PM
সংবাদ মাধ্যমে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার-প্রকাশে নিষেধাজ্ঞার মামলা শুনানির জন্য প্রস্তুতে সমন পাঠানোর উপায় খুঁজতে বলেছে হাই কোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চে রুল শুনানির দিন ঠিক করতে গেলে রিট আবেদনকারীর আইনজীবীকে আদালত একথা বলে।
সকালে কামরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা মামলার শুনানির দিন ঠিক করার আবেদন জানান আদালতে।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালসহ দলটির সমর্থক আইনজীবীরাও এসময় আদালতে ছিলেন।
প্রথমে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান জানতে চান, তারেক রহমানকে যেহেতু নোটিস দেওয়া হয়নি, তাহলে কীভাবে রুল শুনানি হবে?
তারেককে কোনো ঠিকানায় পাওয়া যায়নি বলে রিট আবেদনকারী আইনজীবী কামরুল জানান।
এরপর কায়সার কামাল বলেন, রাজনৈতিক বিষয় আদালতে আনা উচিৎ হবে না। রাজনৈতিক বিষয় আদালতের বিষয় নয়।
এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের মধ্য থেকে তারেক রহমানকে পলাতক আসামি বলে মন্তব্য করা হয়। তার পাল্টায় সাবেক মন্ত্রী কামরুলকে নিয়েও কটূ মন্তব্য আসে বিএনপি সমর্থকদের মাঝ থেকে।
এনিয়ে আদালতের মধ্যে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে দুই পক্ষের আইনজীবীরা থামেন।
তারেকের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুল শুনানির উদ্যোগ
এরপর জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, রুলস অনুযায়ী তারেক রহমানকে অবশ্যই নোটিস দিতে হবে। তবে সেটি কোন প্রক্রিয়ায়, তার উপায় খুঁজতে হবে। বিকল্প পদ্ধতি বের করতে হবে। এ বিষয়ে বুধবার আদেশ দেওয়া হবে।
উপায় খোঁজার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে কামরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কালকে [বুধবার] এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে; তখন জানতে পারবেন।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক দেশে কয়েকটি মামলায় দণ্ড নিয়ে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। তিনি ভার্চুয়ালি দলের বিভিন্ন সভায় যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখছেন।
সংবাদ মাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ বা অন্য কোনো মাধ্যমে তার বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার-প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি রিট আবেদন হয় ২০১৫ সালে।
ওই বছরের ৭ জানুয়ারি তার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ রুল জারির আদেশ দেয়।
রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
তারেক রহমানকে এ নোটিস পাঠানো যায়নি বলে সাড়ে আট বছরেও রিট মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়নি।
তারেক সম্প্রতি দুদকের এক মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর গত ২ অগাস্ট হাই কোর্টের এই বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আনতে আবেদন করেন কামরুল ইসলাম।