Published : 12 Feb 2024, 08:12 PM
ঢাকার ধামরাইয়ের এক যুবককে ‘গুমের’ অভিযোগ তুলেছে ‘গুম’ হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ তোলা হয়।
সেখানে বলা হয়, গত বছরের ২৯ অগাস্ট রাত ১২টার সময় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পোশাকে ও সাদা পোশাকে ধামরাই উপজেলার বড় নালগ্রামের ইলেক্ট্রিশিয়ান রহমাতুল্লাহকে (২০) তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ৫ মাস ধরে র্যাব কার্যালয়, ডিবি অফিস, বিভিন্ন থানা ও হাসপাতাল ঘুরে তাকে খুঁজে না পেয়ে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয় বলে পরিবারটির ভাষ্য।
রহমাতুল্লাহর মা মমতাজ বেগম বলেন, “আমার কলিজার টুকরা রহমাতুল্লাহকে ফিরিয়ে দিন। আমি কাকে নিয়ে বেঁচে থাকব।”
নিখোঁজ হওয়ার ৮দিন আগে থেকেই রহমাতুল্লাহ প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার পাশেই ঘুমিয়ে ছিল, আমার পাশ থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল, আজও ফিরে এল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বলে দিন, আমি কোথায় কার কাছে গেলে আমার সন্তানকে ফিরে পাব?”
সম্মেলননে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান রহমাতুল্লাহর বড় বোন রাজিয়া আক্তার।
তিনি বলেন, গত ২৯ অগাস্ট রাতে তাদের বাড়ি থেকে ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা’ রহমাতুল্লাহকে তুলে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলা জানানো হয়েছিল তখন। পরের দিন মানিকগঞ্জ ও ধামরাই থানায় যোগাযোগ করেও কোনো তথ্য মেলেনি।
রাজিয়া আক্তার বলেন, “গুম হওয়ার ৫ মাস পরেও আমার ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমার মা প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমার ভাই কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না, তার বিরুদ্ধে কোথাও কোনো মামলা ছিল না।
“তার পরেও সে যদি কোনো অন্যায় করে থাকে, দেশের প্রচলিত আইনে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে পারত, আমরা জানতে পারতাম সে কী অপরাধ করেছে। কিন্তু এখন আমরা কিছুই জানি না।”
এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থার বক্তব্য জানতে পারেনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
মায়ের ডাকের সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম তুলির সভাপতিত্বে এবং মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রহমাতুল্লাহর বড় খালা সায়রা খাতুন, পরিবারের সদস্য ঝুমুর আক্তার, বেবি আক্তার, মিনু আক্তার, ইমন ওমর, হ্যাপি আক্তার সুমনি, লামিয়া আক্তার মিম।