Published : 14 Jan 2024, 08:42 PM
পৌষ মাসের শেষ দিন ‘সাকরাইন’ উৎসবে মাতল পুরান ঢাকার বাসিন্দারা।
এ উৎসবের ঐতিহ্য ধরে রাখতে রোববার বিকালে ছাদে ছাদে ঘুড়ি ওড়ান তরুণ-তরুণীরা। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটির তরফে উৎসব আয়োজন করা হয় ধুপখোলা ফুটবল মাঠে। চলে ঘুড়ি কাটাকাটির প্রতিযোগিতা।
সময়ের পরিক্রমায় উৎসব আয়োজনে পরিবর্তন এসেছে; সন্ধ্যার পর আতশবাজি, ফানুশের পাশাপাশি নাচগানও দেখা গেছে।
দক্ষিণ সিটি জানিয়েছে, এবার সংস্থার ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে উৎসব পালন করা হয়েছে। এর জন্য ১৫ হাজার ঘুড়ি বিতরণ করা হয়।
সাকরাইনের ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করে ধুপখোলা মাঠে বিকালে মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস বলেন, “ঘুড়ি উৎসব বা সাকরাইন উৎসব ঢাকার প্রাচীনতম ঐতিহ্য। এই উৎসব উদযাপনে আজ আমরা গেন্ডারিয়ার ঐতিহ্যবাহী ধুপখোলা মাঠে সমবেত হয়েছি।
“আপনারা লক্ষ্য করছেন, গেন্ডারিয়াসহ ঢাকার আকাশ আজ ঘুড়িতে ছেঁয়ে গেছে। আমরা চাই, আমাদের তরুণেরা, আমাদের সন্তানেরা ঐতিহ্যকে ধারণ করবে।”
তাপস বলেন, “তারা সারা বছর ঘুড়ি ওড়াবে এবং ছাদ-মাঠসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা ঘুড়ি উড়িয়ে আমাদের সংস্কৃতিকে ধারণ করবে।
“আমরা আমাদের প্রতিটি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই, ঢাকাবাসীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই, নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। যাতে করে নতুন প্রজন্ম সকল সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপরীতে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় নিজেদের ঐতিহ্যকে লালন করতে পারে।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটির তরফে ২০২১ সালে প্রথমবারের মত কেন্দ্রীয়ভাবে সাকরাইন উৎসবের আয়োজন করার কথা মনে করিয়ে দিয়ে মেয়র বলেন, “পরবর্তীতে আমরা প্রতি বছর এটা আয়োজন করে চলেছি। করোনাভাইরাসের প্রকোপের জন্য শুধু ১৪২৮ বঙ্গাব্দে (২০২২ খ্রিস্টাব্দ) আয়োজন করতে পারিনি। গতবছরও আয়োজন করা হয়েছে।
“আর এবারকার আয়োজন আমাদের তৃতীয় আয়োজন। এবারও ৭৫টি ওয়ার্ডে আমাদের কাউন্সিলরবৃন্দের নেতৃত্বে আমরা সাকরাইন উৎসব উদযাপন করছি। তারই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে ধুপখোলা আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার মাঠে আজকে আমরা এই আয়োজন করেছি।”
পরে মেয়র তাপস নিজেও ঘুড়ি উড়ান; সে সময় তার ঘুড়িতে অন্য দু'জনের ঘুড়ি ধরাশয়ী হয়।