Published : 27 Feb 2025, 10:06 PM
‘বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড বিধিমালা’র সংস্কার চেয়েছে পর্যটন শিল্পমালিকদের সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-টোয়াব।
পাশাপাশি ২০২৪ সালে প্রণীত এই বিধিমালার আলোকে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের নিবন্ধন ও পরিচালনা লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রম স্থগিতের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার টোয়াবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পর্যটনশিল্পে বিদ্যমান ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের নিবন্ধন ও পরিচালনার জন্য ২০২১ সালে ‘ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালন) আইন’ প্রণীত হয়। এ আইনের আলোকে ২০২৪ সালের ২৮ মার্চ ‘বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিধিমালা’ প্রণীত হয়।
বিধিমালা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায়, ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডের লাইসেন্সের আবেদন করতে ৫০ হাজার টাকা নিবন্ধন সনদ ফি, ১০ লাখ টাকা ব্যাংক স্থিতির সার্টিফিকেট এবং ৩ লাখ টাকা জামানত দেখাতে হবে। এই হার অনেক বেশি বলে দাবি টোয়াবের।
টোয়াবের ভাষ্য, একই মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্য লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ওই শর্তগুলো নেই।
সংগঠনটির সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, “আমি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সচিব ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর বিভিন্ন সময়ে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড আইনের বিধিমালায় উল্লেখিত জামানত বাতিল, বাস্তবতা বিবর্জিত ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ ধারা এবং বিভিন্ন অসংগতি দূরীকরণের লিখিত ও মৌখিক অনুরোধ করেছি।”
তিনি বলেন, “এছাড়া কয়েকটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু গত চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড নিবন্ধন ও নিবন্ধন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করার চিঠি প্রদান করে।
“বিধিমালায় উল্লেখিত শর্তাবলী বহাল রেখেই ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে; যা ট্যুর অপারেটরদের জন্য ভীষণ হতাশার।”
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার টোয়াবের সভাপতি, পরিচালক ও উপস্থিত সদস্যদের নিয়ে লাইসেন্স কার্যক্রম স্থগিতের দাবিতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডে অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
পরে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবেরের কাছে স্মারকলিপি দেন টোয়াব নেতারা।