Published : 15 Oct 2023, 02:48 PM
ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অনুমোদনে রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে তাকে এ পদে নিয়োগের কথা জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা মাকসুদ কামাল আগামী ৪ নভেম্বর তার দায়িত্ব বুঝে নেবেন। উপাচার্যের দায়িত্বে তিনি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। দুই মেয়াদ উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শেষে আবার অধ্যাপনার কাজে ফিরছেন ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এই শিক্ষক।
নতুন উপাচার্য বেছে নিতে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে রাষ্ট্রপতি সরাসরি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অধ্যাপক মাকসুদ কামালকে উপাচার্যের দায়িত্ব দিলেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর আর্টিকল ১১ (২) অনুসারে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালকে উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে নিম্নোক্ত শর্তে দায়িত্ব প্রদান করা হল।
“মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। এ পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা পাবেন। বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।”
২০২০ সালের জুন থেকে উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক পদে যোগ দিয়েছিলেন ২০০০ সালে। ২০১০ সালে তিনি অধ্যাপক হন।
২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ ছিলেন দুই মেয়াদে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এবং সিনেট সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তিন বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং চারবার সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন মাকসুদ কামাল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ-সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সাবেক এই আহ্বায়ক বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিবও ছিলেন।
মাকসুদ কামাল ভূতত্ত্বে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। পরে নেদারল্যান্ডসের টোয়েন্টি ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর জিও-ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড আর্থ অভজারভেশন থেকে অ্যাপ্লায়েড ইঞ্জিনিয়ারিং জিওলজি বিষয়ে মাস্টার্স করেন। জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনলোজি থেকে আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ২০০৪ সালে ডক্টর অব ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি পান।
তার জন্ম ১৯৬৬ সালের ২১ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায়। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তার।