Published : 30 Nov 2022, 12:18 PM
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ জুড়ে কোভিড টিকার দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সারাদেশের ১৫ হাজার ৯৮৪টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এই সময়ে প্রায় ৯০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে বলে জাতীয়ভাবে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক জানিয়েছেন।
বুধবার মহাখালীতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান কার্যালয়ে তিনি বলেন, টিকাদান কর্মসূচি চলবে ১-৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। টিকা নেওয়া থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের টিকার আওতায় আনাই এ কর্মসূচির লক্ষ্য।
“প্রথম ডোজ নিয়ে যারা দ্বিতীয় ডোজের জন্য এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে বুস্টার ডোজের অপেক্ষায় আছেন এমন ব্যক্তিদের টিকা দেব। এখনও প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ বুস্টার ডোজের অপেক্ষায় আছেন, তারা যেন বুস্টার ডোজ পেতে পারেন, সে উদ্দেশ্যেই করব।”
সারাদেশের প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এবং মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে এ কর্মসূচি চলার কথা জানিয়ে শামসুল হক বলেন, “সাত দিনে ছয়টি কর্মদিবস পড়বে। দুই ভাগে আমরা ভাগ করেছি। প্রথম দিন প্রচার হবে, পরের দিন ওই এলাকায় টিকা দেওয়া হবে। তিন দিন প্রচার তিন দিন টিকাদান।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী অন্তত ৭০ শতাংশ নাগরিককে টিকার আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকার দুই ডোজ পেয়েছেন ৭৩ শতাংশ মানুষ। পাঁচ বছরের বেশি বয়সী ৯৫ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ, ৮০ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। আর বুস্টার ডোজ পেয়েছেন লক্ষ্যমাত্রার ৫২ শতাংশ মানুষ।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৩৪ কোটি ৩৪ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। টিকা দেওয়া হয়েছে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ডোজ। এর মধ্যে নয়টি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছে ১৩ কোটি ডোজ টিকা। প্রতিটি ক্যাম্পেইন গড়ে তিন দিন ধরে চলেছে।
‘টিকার চতুর্থ ডোজও আসছে’
মহাখালীতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকরা জানতে চান বুস্টার ডোজের পর টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে কি না। জবাবে– ডা. শামসুল হক বলেন, “এ বিষয় নাইট্যাগের (ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপস) মতামত চাওয়া হয়েছে। তারা চতুর্থ ডোজ দেওয়ার জন্য মতামত দিয়েছেন।
“তারা বলেছেন, চতুর্থ ডোজ দেওয়া যাবে। শিগগিরই আমরা এই পরিকল্পনাটা… কীভাবে দেব, কবে দেব। আমরা এখন বলতে পারছি চতুর্থ ডোজ দেওয়া যাবে। আমরা জাতীয় পরিকল্পনার মাধ্যমে দেব।”
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়। সবশেষ মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৪ কোটি ৮৩ লাখ ২১ হাজারের বেশি প্রথম ডোজ, ১২ কোটি ৫২ লাখ ৯৭ হাজার দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫ কোটি ৯০ লাখ ৯১ হাজারের বেশি বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।