নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
Published : 14 Oct 2024, 11:19 PM
নিউ জিল্যান্ডকে অল্পে থামিয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রাখলেন পাকিস্তানের বোলাররা। কিন্তু ব্যাটিংয়ে যে তারা দাঁড়াতেই পারল না, গড়ল নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। দারুণ বোলিংয়ে জিতে দীর্ঘ অপেক্ষা ঘুচল নিউ জিল্যান্ডের।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড জিতেছে ৫৪ রানে। এই জয়ে আট বছর পর তারা জায়গা করে নিয়েছে সেমি-ফাইনালে। আর পাকিস্তানের সঙ্গে এই গ্রুপ থেকে বিদায় নিশ্চিত গেছে তাদের প্রতিবেশী ভারতেরও।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার নিউ জিল্যান্ড ২০ ওভারে ৬ উইকেটে করে ১১০ রান। জবাবে পাকিস্তান ১১.৪ ওভারে অল আউট হয় ৫৬ রানেই।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর এটি। ২০১৮ আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৪৬ রান সর্বনিম্ন।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন এটি। এখানেও সবার ওপরে বাংলাদেশ, ২০২২ সালে ক্রাইস্টচার্চে ৩২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা।
এই সংস্করণে পাকিস্তানের আগের সর্বনিম্ন ছিল ৬০, ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ম্যাচে দুই দলের কেউ ব্যাট হাতে ত্রিশ পর্যন্ত যেতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন নিউ জিল্যান্ডের ওপেনার সুজি বেটস।
নিউ জিল্যান্ডকে আরও কম রানে থামাতে পারত পাকিস্তান, কিন্তু ক্যাচ ফেলে তারা ৮টি!
ভারতের সেমি-ফাইনালে যাওয়া নির্ভর করছিল পাকিস্তানের জয়ের ওপর। নিউ জিল্যান্ড ও ভারতকে টপকে শেষ চারে উঠতে পাকিস্তানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলতে হতো ১১.৩ ওভারে।
মিডল অর্ডার ব্যাটার আলিয়া রিয়াজকে ২০১৪ সালের পর প্রথমবার তারা পাঠায় ওপেনিংয়ে। কিন্তু তিন বলেই শেষ হয় আলিয়ার ইনিংস। পাওয়ার প্লেতে ২৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় পাকিস্তান।
ষষ্ঠ উইকেটে ২৪ রানের জুটি হয় একটি, এরপর ৪ রানের মধ্যে তারা হারায় শেষ ৫ উইকেট!
দুই অঙ্কে যেতে পারেন পাকিস্তানের কেবল দুজন। সর্বোচ্চ ২১ রান করেন অধিনায়ক ফাতিমা সানা।
২.৪ ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সফলতম বোলার লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার অ্যামেলিয়া কার। তবে ৩ ওভারে এক মেডেনে স্রেফ ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা অফ স্পিনার ইডেন কার্সন।
টি-টোয়েন্টিতে টানা ১০ ম্যাচ হেরে এই টুর্নামেন্টে পা রেখেছিল নিউ জিল্যান্ড। সেই তারাই এশিয়ার তিন দল ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে পৌঁছে গেল সেমি-ফাইনালে। গ্রুপ পর্বে তারা হারে কেবল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
চার ম্যাচের সবগুলো জিতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের সেরা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ নিউ জিল্যান্ড। ভারতের ৪, পাকিস্তানের ২ পয়েন্ট। চার ম্যাচই হেরে তলানিতে শ্রীলঙ্কা।
গত তিনটি আসরে নিউ জিল্যান্ড বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে। প্রথম দুই আসরে রানার্সআপ হওয়া দলটি পরে দুবার সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় ২০১২ ও ২০১৬ সালে।