দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান সিরিজ
Published : 04 Dec 2024, 04:45 PM
টেস্ট দলের বাইরে থাকার সময়টা আরও দীর্ঘ হচ্ছে শাহিন শাহ আফ্রিদির। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসছে দুই টেস্ট সিরিজের জন্য অভিজ্ঞ পেসারকে দলে রাখেনি পাকিস্তান। তবে প্রত্যাশিতভাবে বড় সংস্করণের দলে ফিরেছেন বাবর আজম ও নাসিম শাহ।
ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় দুই টেস্টের জন্য বুধবার ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
গত অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই টেস্টে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পরের মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে বসে পাকিস্তান। মুলতানে ওই হারের পর দলে ব্যাপক পরিবর্তন আনে পিসিবি; বাদ পড়েন সাবেক অধিনায়ক বাবর, তারকা পেসার আফ্রিদি ও আরেক পেসার নাসিম।
সাদা পোশাকের দলে জায়গা হারালেও, অন্য সংস্করণে দলেই ছিলেন তিনি। এতে একটা বিষয় ধারণা মেলে যে, ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারে হয়তো এখন লাল বলের ক্রিকেট কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়বে।
কারণ অক্টোবরে তাকে বাদ দেওয়ার সময় জোর ধারণা ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পেস সহায়ক উইকেটে অবশ্যই ফিরবেন আফ্রিদি। পাঁচ বছর আগে এখানেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট খেলেছিলেন তিনি।
২০২২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে পাওয়া চোট কাটিয়ে ফেরার পর থেকে ছয়টি টেস্ট খেলেছেন আফ্রিদি। এই ম্যাচগুলোয় তেমন কার্যকর হতে পারেননি তিনি; ৪৫.৪৭ গড়ে নিয়েছেন ১৭ উইকেট।
তাই এবারও তার বাদ পড়ায়, জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজেও আফ্রিদির ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়ল। উইন্ডিজের বিপক্ষে ওই সিরিজের পর ২০২৫ সালের অক্টোবরের আগে পাকিস্তানের আর কোনো টেস্ট ম্যাচ নেই।
এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিও খেলবে পাকিস্তান। এই দুই সিরিজের দলও দিয়েছে তারা। সীমিত ওভারের সংস্করণের দলে ঠিকই আছেন আফ্রিদি। বাবর-নাসিমও প্রত্যাশিতভাবে আছেন রঙিন পোশাকের দলে।
অনেক দিন পর দলে ফিরেছেন আরেক পেসার মোহাম্মদ আব্বাস। পাকিস্তানের হয়ে লাল বলে সবশেষ তিনি খেলেছেন ২০২১ সালে। ২০১৮-১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পাকিস্তান টেস্ট দলের একমাত্র পেসার হিসেবে এবারের দলে আছেন আব্বাস।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের সিরিজ জয়ের মূল কারিগর ছিলেন দুই স্পিনার নোমান আলি ও সাজিদ খান। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট পুরোপুরি ভিন্ন। তাই আসছে সিরিজে একজন স্পিনার দলে রেখেছে তারা, ভরসা রেখেছে বাঁহাতি নোমান আলির স্পিনে।
আর বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে চোট পাওয়া খুররাম শাহজাদ সুস্থ হয়ে দলে ফিরেছেন। অক্টোবরের শেষদিকে মাঠে ফেরার পর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ও শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে দারুণ পারফরম করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শুরুতে আগামী ১০ থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে পাকিস্তান। এরপর ২৬ ডিসেম্বর সেঞ্চুরিয়নে শুরু হবে প্রথম টেস্ট এবং আগামী ৭ জানুয়ারি কেপ টাউনে মাঠে গড়াবে দ্বিতীয় টেস্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের টেস্ট দল: শান মাসুদ (অধিনায়ক), সাউদ শাকিল (সহ-অধিনায়ক), আমের জামাল, আবদুল্লাহ শাফিক, বাবর আজম, হাসিবউল্লাহ (উইকেটরক্ষক), কামরান গুলাম, খুররাম শাহজাদ, মির হামজা, মোহাম্মদ আব্বাস, মোহাম্মদ রিজওয়ান, নাসিম শাহ, নোমান আলি, সাইম আইয়ুব, সালমান আলি আগা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের ওয়ানডে দল: মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), আবদুল্লাহ শাফিক, আবরার আহমেদ, বাবব আজম, হারিস রউফ, কামরান গুলাম, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ ইরফান খান, নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব, সালমান আলি আগা, শাহিন শাহ আফ্রিদি, সুফিয়ান মুকিম, তৈয়ব তাহির, উসমান খান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল: মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, বাবর আজম, হারিস রউফ, জাহানদাদ খান, মোহাম্মদ ইরফান খান, ওমাইর বিন ইউসুফ, সাইম আইয়ুব, সালমান আলি আগা, শাহিন শাহ আফ্রিদি, সুফিয়ান মুকিম, তৈয়ব তাহির, উসমান খান