নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
Published : 12 Oct 2024, 08:38 AM
এই দিনটির জন্য কত কষ্ট করে, কত ঘাম ঝরিয়ে, কতটা দীর্ঘ অপেক্ষায় ছিলেন টায়লা ভ্যালেমিক। তার সব রোমাঞ্চ ম্যাচের শুরুতেই রূপ নিল বিভীষিকায়। অস্ট্রেলিয়ার গতিময় পেসারের চোট-জর্জর ক্যারিয়ার আরও একবার থমকে গেল সেই পুরোনো আততায়ীর থাবায়।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুক্রবার ফিল্ডিংয়ের সময় কাঁধের হাড় সরে যায় ভ্যালেমিকের। ম্যাচে একটি বলও করতে পারেননি নারী ক্রিকেটের দ্রুততম বোলারদের একজন।
২০১৮ সালের পর বিশ্বকাপে তার প্রথম ম্যাচ এটি। দুবাইয়ে ম্যাচের প্রথম ওভারে ফিল্ডিং করছিলেন তিনি শর্ট থার্ডম্যানে। ম্যাচের চতুর্থ বলেই মুনিবা আলির ব্যাটের কানায় লেগে বল ছুটে যায় বাউন্ডারির দিকে। পিছু নেন ভ্যালেমিক। বাউন্ডারি থামাতে শেষ মুহূর্তে স্লাইড করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তার হাঁটু একটু আটকে যায় মাঠে। হাতের ওপর ভর দিয়ে মাঠে বাজেভাবে পড়ে যান তিনি।
পড়ে যাওয়ার পরপরই কাঁধে হাত রেখে কাতরাতে থাকেন তিনি। দলের মেডিকেল টিম তাকে বাইরে নিয়ে যায়। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, গুরুতর কিছুই হয়েছে। পরে তার সরে যাওয়া হাড় আবার জায়গামতো বসানো হয়। তবে এই চোট তাকে কতটা ভোগাবে, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে আরও পরীক্ষার পর।
নারী ক্রিকেটের সবচেয়ে গতিময় বোলারদের একজন ভ্যালেমিক। চোটের সঙ্গে তার সখ্য অনেক পুরোনো। ২০১৭-১৮ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার হয়ে খেলার সময় বাঁ কাঁধের হাড় নড়ে যায় তার। গত বছর অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে বোলিংয়ের সময় আবার সেই একই কাঁধের হাড় সরে যায়। এবার অস্ত্রোপচার করাতে হয় তাকে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেকের আগেই ২০১৮ সালে দুই দফায় তার এসিএল অস্ত্রোপচার হয়। পায়ের স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের কারণে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২২ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, গত বছরের কমনওয়েলথ গেমস ও ২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি তিনি।
অনেক পরিশ্রম করে ফিট হয়ে গত মার্চ-এপ্রিলে বাংলাদেশ সফর দিয়ে আবার অস্ট্রেলিয়া দলে ফেরেন তিনি। সেই সিরিজে দুটি ম্যাচে দারুণ বোলিং করেন। এবার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা করে নেন। প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে না থাকলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রেস হ্যারিসের বদলে তাকে নেওয়া হয় একাদশে। ছয় বছর পর আবার বিশ্বকাপের ম্যাচে মাঠে নামেন তিনি। তবে স্বাদটা সেভাবে পাওয়ার আগেই আবার তার অপেক্ষার পালা হলো শুরু।