Published : 14 Jul 2022, 06:32 PM
আইসিসি বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অ্যান্টি-ডোপিং বিধির ২.১ ধারা ভঙ্গ করেছেন শহিদুল। গত ২৮ মে তিনি দায় স্বীকার করেন। তাই তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে সেদিন থেকেই। শাস্তির মেয়াদও তিনি মেনে নিয়েছেন। আগামী ২৮ মার্চ আবার তিনি ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন।
বাংলাদেশের চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন শহিদুল। কিন্তু তাকে দলের সঙ্গে পাঠানো হয়নি। তখন বলা হয়েছিল, চোটের কারণে যেতে পারছেন না এই পেসার।
বাংলাদেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন শহিদুল। গত নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই টি-টোয়েন্টিতে একটি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। জাতীয় দলের সঙ্গে বা আশেপাশে আছেন তিনি বেশ কিছু দিন ধরেই। এই বছরের শুরুতে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলেও ছিলেন তিনি।
সবশেষ তিনি খেলেছেন গত এপ্রিলে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে।
গত ৪ মার্চ শহিদুলের মূত্র নমুনা নেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। তার নমুনায় ‘ক্লোমিফেন’ নামক উপাদান পাওয়া যায়। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা) নিষিদ্ধ উপাদান হিসেবে প্রতিযোগিতা চলার সময় ও প্রতিযোগিতা না থাকার সময়, দুই ক্ষেত্রেই এটি নিষিদ্ধ তালিকায় আছে। শহিদুলের নমুনা নেওয়া হয়েছিল প্রতিযোগিতার বাইরে থাকার সময়ের পরীক্ষার আওতায়।
আইসিসি নিশ্চিত হতে পেরেছে, শহিদুল ‘উল্লেখযোগ্য কোনো বড় দোষ বা অবহেলা করেননি।’ এই উপাদান তিনি গ্রহণ করেন অসাবধানতাবশত, একটি ওষুধের মাধ্যমে। চিকিৎসকের বৈধ ব্যবস্থাপত্র থেকে ওষুধটি তিনি নিয়েছিলেন চিকিৎসার প্রয়োজনে।
পারফরম্যান্স-বর্ধক হিসেবে এটি গ্রহণ করার কোনো ইচ্ছা তার ছিল না বলে দাবি করেন শহিদুল এবং আইসিসি তার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পেরেছে বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে ডোপ-বিরোধী বিধি অনুসরণের যে গুরু দায়িত্ব আছে, তা পালনে ব্যর্থ হয়েছেন বলে দায় স্বীকার করেন শহিদুল।