Published : 24 Jan 2025, 04:45 PM
পেসার উমার নাজির মিরের শর্ট বল পুল করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়লেন আজিঙ্কা রাহানে। দ্রুত তিনি হাঁটা দিলেন ড্রেসিং রুমের পথে। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে এলেন শার্দুল ঠাকুর। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে আম্পায়ার জানালেন, উমারের বলটি ছিল ‘নো’ বল। শার্দুলকে ফিরে যেতে বলার পাশাপাশি রাহানেকে আবার ডেকে পাঠানো হলো ক্রিজে!
আউট জেনে ফিরে যাওয়ার প্রায় পাঁচ মিনিট পর আবার ব্যাটিংয়ে নামেন রাহানে। বিরল এই ঘটনা ঘটেছে রাঞ্জি ট্রফিতে জাম্মু ও কাশ্মীরের বিপক্ষে মুম্বাইয়ের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শুক্রবারে, মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের ২৫তম ওভারে। এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে।
রাহানে আবার ক্রিজে এলে আম্পায়ারদের বলতে দেখা যায় যে, তারা ‘নো’ বল পরীক্ষা করার কারণে তাকে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন, কিন্তু মুম্বাই অধিনায়ক তা শুনতে পাননি।
ম্যাচের অফিসিয়াল ব্রডকাস্টার জিওসিনেমার সরাসরি সম্প্রচারে ওই নো বলটি কখনও দেখানো হয়নি। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, মাঠের টেলিভিশন প্রোডাকশন দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায় যে, তাদের ফুটেজ দেখার সুযোগ ছিল না, যা তৃতীয় আম্পায়ারের ছিল। নিতিন গোয়েল, যিনি একই সঙ্গে তৃতীয় আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি, তিনি বলেন, যোগাযোগের ঘাটতির কারণে বিভ্রান্তি এবং বিলম্ব হয়েছে।
“আমি যখন ওয়াকি টকিতে আম্পায়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি, তখন আম্পায়ার অন্য চ্যানেলে ছিলেন। তাই মাঠের আম্পায়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে কিছুটা সময় লেগেছিল। রাহানে নিজেই স্ক্রিনে উপস্থিত হয়ে ইঙ্গিত দেন যে, আম্পায়ারদের অপেক্ষা করতে বলার কথা তিনি শুনতে পাননি। এটি স্পষ্ট ‘নো’ বল ছিল এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমি প্রাসঙ্গিক ফুটেজটি বিসিসিআইকে পাঠাব।”
জীবন পেয়ে অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেননি রাহানে। দুই ওভার পর একই বোলারের বলে কাভারে জাম্মু ও কাশ্মীরের অধিনায়ক পারাস ডোগরার দুর্দান্ত ক্যাচে বিদায় নেন তিনি ১৬ রান করে।
এ দিন আম্পায়ারদের আরেকটি সিদ্ধান্তও চরম বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় ইনিংসেই ১৬তম ওভারে উমারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করার চেষ্টায় পারেননি শ্রেয়াস আইয়ার। বল ব্যাটসম্যানের ব্যাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার স্পষ্ট শব্দ শোনা যায়। কিপার বল গ্লাভসে জমাতেই কট বিহাইন্ডের জোরাল আবেদন করেন বোলার ও ফিল্ডাররা। কিন্তু আম্পায়ার এস রাভি আউট দেননি। ব্যাটসম্যানও ক্রিজ থেকে নড়েননি। ফিল্ডাররা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না।
শ্রেয়াসও এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি। ১১ বল পরই, আকিব নাবির বলে কিপারের গ্লাভসেই ক্যাচ দেন তিনি। আম্পায়ার যদিও তাৎক্ষণিকভাবে আঙুল না তুলে কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে নিশ্চিত হন যে, ক্যাচটি ঠিকভাবে নেওয়া হয়েছে কি-না।
শ্রেয়াস আগেরবারের মতোই আম্পায়ার সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত ক্রিজ থেকে নড়েননি। পরে তাকে ড্রেসিংরুমে ফেরার সংকেত দেন আম্পায়ার।