চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
Published : 21 Feb 2025, 12:37 PM
উচ্ছ্বাসের চূড়া থেকে হতাশার তলানি। আট বছরের ব্যবধানে দুটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে এমন বিপরীতমুখী অভিজ্ঞতার স্বাদ পেলেন ফাখার জামান। ২০১৭ আসরের ফাইনালে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে তিনি ছিলেন পাকিস্তানের শিরোপা জয়ের নায়ক। এবার দেশের মাঠে তার টুর্নামেন্ট শেষ প্রথম ম্যাচেই!
চোট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ফাখারের ছিটকে পড়ার খবর পুরোনো। নতুন করে আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে তার একটি ভিডিও, যা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হয়ে তার ড্রেসিং রুমে ফেরার ভিডিও সেটি। সিড়ি দিয়ে হতাশ পদক্ষেপে তিনি উঠে গেলেন ধীরে ধীরে। অবসন্ন শরীরকে টেনে নিচ্ছিলেন যেন কোনোরকমে। ড্রেসিং রুমের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলেন। একটু পরে দেখা গেল, প্যাড না খুলেই সোফায় বসে দু হাতে মুখ ঢেকে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন তিনি। তখন তার মাথায় হাত বুলিয়ে ও পিঠ চাপড়ে দিচ্ছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
আফ্রিদি পরে পাশে বসে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন ফাখারকে। কিন্তু বাঁহাতি ওপেনার নিজেকে সামলাতে পারছিলেন না কোনোভাবেই।
ফাখারের ছিটকে পড়ার খবর আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে আরও অনেক পরে। তবে তিনি নিজে ততক্ষণে বুঝে গেছেন ভাগ্য।
এই আসরে দলের বড় ভরসা ছিলেন ফাখার। বিশেষ করে, শুরুতে দ্রুত রান তোলার জন্য তার দিকেই তাকিয়ে ছিল দল। কিন্তু প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। লম্বা সময় আর ফিল্ডিং করতে পারেননি। শেষ দিকে মাঠে ফিরলেও ইনিংস ওপেন করার জন্য যথেষ্ট সময় থাকতে পারেননি মাঠে।
পরে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় তাকে চার নম্বরে। ব্যাটিং পজিশনের কারণে হোক বা চোটের অস্বস্তিতে, নিজের সহজাত ব্যাটিং তিনি করতে পারেননি। আউট হয়ে যান ৪১ বলে ২৪ রান করে।
ড্রেসিং রুমে ভেঙে পড়লেও পরে সামাজিক মাধ্যমে ফাখার প্রত্যয় জানান দলের পাশে থাকার।
“পাকিস্তানকে সবচেয়ে বড় মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা এই দেশের প্রতিটি ক্রিকেটারের জন্য সম্মান ও স্বপ্নের। পাকিস্তানকে গর্বের সঙ্গে তুলে ধরার সুযোগ অনেকবার পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এখন আমি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাইরে চলে গেছি, তবে অবশ্যই আল্লাহ সেরা পরিকল্পনাকারী। সুযোগের জন্য কৃতজ্ঞ। ঘরে থেকে সবুজ জার্সির ছেলেদের পাশে থাকব। মাত্রই শুরু হলো, এই ধাক্কার চেয়ে ঘুরে দাঁড়ানো হবে আরও বেশি শক্তিশালী।”
২৯ বছর পর বৈশ্বিক কোনো আসর আয়োজন করেছে পাকিস্তান। এই আসরে অংশ নেওয়া তাদের সব ক্রিকেটারের জন্য এটা যেমন দেশের মাঠে আইসিসি আসরে খেলার প্রথম সুযোগ, তেমনি হয়ে থাকতে পারে শেষ সুযোগও।