আইপিএল
Published : 14 May 2025, 04:59 PM
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি; সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারে তিনটি শিরোপাই জিতেছেন ভিরাট কোহলি। কিন্তু ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আইপিএলে শিরোপার স্বাদ এখনও পাওয়া হয়নি তার। এবার সেই অধরা ট্রফিতেও চুমু আঁকতে পারবেন ভারতের ব্যাটিং গ্রেট, বিশ্বাস দেশটির সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফের।
২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা হয় কোহলির। গত বছর পান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ। আর চলতি বছর চ্যম্পিয়ন্স ট্রফিও জয়ের আনন্দে ভেসেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেবল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি কোহলি। সবশেষ দুই চক্রেই ফাইনাল খেলেছিল ভারত, কিন্তু দুইবারই স্বপ্ন ভাঙে তাদের। টেস্টের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয়ের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ আর পাবেন না কোহলি। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণকে যে দুদিন আগে বিদায় বলে দিয়েছেন তিনি।
আইপিএলের প্রথম আসর ২০০৮ সাল থেকে খেলছেন কোহলি। ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্টের শুরু থেকে কেবল একটি দলেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দলটিকে দীর্ঘ সময় নেতৃত্বও দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকা।
কোহলির অধিনায়কত্বে ২০১৬ সালে আইপিএলের ফাইনাল খেলে বেঙ্গালুরু। সেবার ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন সানরাইজার্স হায়দরবারের বিপক্ষে হেরে হৃদয় ভাঙে তাদের।
এর আগেও দুই দফায় ফাইনাল খেলে বেঙ্গালুরু। আইপিএলের দ্বিতীয় আসরে ২০০৯ সালে আনিল কুম্বলের নেতৃত্বে ডেকান চার্জার্সের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে হেরে যায় তারা।
২০১১ সালে ফের শিরোপা জয়ের সুযোগ আসে বেঙ্গালুরুর সামনে। এবারও ফাইনালে তাদের আশা ভাঙে। মাহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে সেবার হারাতে পারেনি ড্যানিয়েল ভেটোরির বেঙ্গালুরু।
বেঙ্গালুরুতে খেলেছেন ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, জাহির খান, জ্যাক ক্যালিস, শেন ওয়াটসন, ফাফ দু প্লেসির মতো তারকারা। প্রতিবার শক্তিশালী দল সাজিয়েও ভাগ্য যেন কিছুতেই পরিবর্তন করতে পারছে না তারা।
তবে এবার বেঙ্গালুরুর উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন কাইফ। আইএএনএসের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন ভাবনার কারণ জানালেন ২০১১ ও ২০১২ সালে দলটির হয়ে খেলা এই ব্যাটসম্যান।
“দল হিসেবে আরসিবি নিয়ে যদি বলি, তারা দুর্দান্ত করছে। আমি দল শব্দটার প্রতি জোর দিচ্ছি কারণ, তারা সবসময় শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের দল। কিন্তু এবার রাজাত পাতিদার বোলারদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করছে, ১৭০-১৮০ রান করেও প্রতিপক্ষকে জিততে দিচ্ছে না।”
আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কোহলি। তার ৮ হাজার ৫০৯ রানের ধারে কাছেও নেই কেউ। ৬ হাজার ৯২৮ রান নিয়ে তালিকায় দুইয়ে রোহিত শার্মা।
এই টুর্নামেন্টের অসংখ্য রেকর্ড-কীর্তিতে নাম আছে কোহলি। চলতি মৌসুমেও দুর্দান্ত ছন্দে আছেন তিনি। ১১ ম্যাচ ৬৩.১৩ গড় ও ১৪৩.৪৬ স্ট্রাইক রেটে ৫০৫ রান করে ফেলেছেন তিনি। শীর্ষে থাকা সুরিয়াকুমার ইয়াদাভের (৫১০) চেয়ে কেবল ৫ রান কম তার।
রাজাত পাতিদারের নেতৃত্বে বেঙ্গালুরুও এবার আছে চমৎকার ছন্দে। ১১ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে তারা।
কাইফের মতে, এবার সব বিভাগেই সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে বেঙ্গালুরু। ভারসাম্যপূর্ণ দলটিকে নিয়ে তাই আশার ছবি আঁকছেন তিনি।
“কোহলি যেটা সবচেয়ে ভালো করে, সেটা করেই যাচ্ছে…তবে এবার বোলাররা তাদের এই বিশ্বাস যোগাচ্ছে যে, তারা জিততে পারে। ভারসাম্যপূর্ণ দলের সাধারণত সবচেয়ে ভালো সুযোগ থাকে, তাই আমি বিশ্বাস করি, এই বছর তারা আইপিএল জিততে পারে।”
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর নতুন সূচিতে পুনরায় শুরু হতে যাওয়া আইপিএলে প্রথম দিনই মাঠে নামবে বেঙ্গালুরু। আগামী শনিবার ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হবে দলটি।