Published : 12 Apr 2024, 05:49 PM
ব্যক্তিগত কারণে নেওয়া বিরতি শেষে ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন ইশান কিষান। তবে আসন্ন বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে ভাবছেন না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এই ভারতীয় কিপার-ব্যাটসম্যান।
গত নভেম্বরে দেশের হয়ে সবশেষ খেলেন কিষান। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময় ক্রিকেট থেকে বিরতি নেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। গত ফেব্রুয়ারিতে ডিওয়াই পাতিল টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। চলমান আইপিএলে এখন পর্যন্ত তিনিই মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১৬১ রান করেছেন ১৮২.৯৫ স্ট্রাইক রেটে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে বৃহস্পতিবার ১৯৬ রান তাড়ায় দলকে শুরুতে পথ দেখান কিষান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে খেলেন ৬৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ৭ উইকেটে জয়ের পর আসছে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে খুব বেশি সামনে তাকাচ্ছেন না তিনি।
“বিশ্বকাপের কথা বললে, এটা আমার হাতে নেই। এই মুহূর্তে আমি সবকিছু খুব সহজভাবে নিচ্ছি। একবারে একটা করে ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে। বুঝতে হবে, অনেক কিছুই খেলোয়াড়দের হাতে থাকে না।”
“এটা (আইপিএল) লম্বা একটা টুর্নামেন্ট। এখানে অতিরিক্ত কিছু করতে চাই না। আমি কেবল একবারে একটা ম্যাচ নিয়েই ভাবছি এবং (আমার লক্ষ্য) যেভাবেই হোক দলকে সাহায্য করা, সেটাই করার চেষ্টা করছি। (বিরতির সময়) আমি অনুশীলন করেছি। কেউ বিরতি নিলে মানুষ এ নিয়ে অনেক গুজব ছড়ায়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক কিছু বলে। তবে এটা বুঝতে হবে যে, সব কিছু একজন খেলোয়াড়ের হাতে থাকে না। আমরা কেবল বিরতির সময়টার সেরা ব্যবহারই করতে পারি।”
শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে কিষানকেও ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান কেন্দ্রীয় চুক্তির জন্য বিবেচনা করেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড- বিসিসিআই। এ নিয়ে কারো কাছে প্রমাণের কিছু দেখেন না বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান।
“আমি কেবল খেলতে চাই এবং উপভোগ করতে চাই। একটা বিষয় আমি শিখেছি, যেসব নিজের হাতে নেই সে সব নিয়ে নিজেকে আরও চাপে ফেলার কিছু নেই। নিজে বুঝতে হবে, কোন বিষয়গুলো (নিজের) নিয়ন্ত্রণে আর কোনগুলো নয়।”
বিরতি কীভাবে নিজের খেলার ধরণে প্রভাব ফেলেছে সেটাও বললেন কিষাণ।
“যদি আমি পুরোনো ইশান কিষান হতাম, তাহলে আমি হয়তো (বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে) প্রথম ২ ওভারে ভালো বলগুলো ছাড়তাম না। আমি হয়তো চাপে পড়ে যেতাম। কিন্তু সময়ের সাথে আমি শিখেছি, এমনকি ২০ ওভারও অনেক এবং এখানেও নিজের সময় নেওয়া যায়। নিজের ভেতর ওই বিশ্বাস থাকতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে। ওই বিরতি এই ব্যাপারগুলোতেও আমাকে সাহায্য করেছে। আমরা এখানে কিছু ম্যাচ হেরেছি। কিন্তু আমি উপলব্ধি করেছি, শুধু আমি একা নই, বেশিরভাগ খেলোয়াড় সবার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ ছিল। কেবল নিজে ভালো পারফরম করা আর অন্যরা কিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেটা না জানা- এই ব্যাপারটা কখনও আমাদের মধ্যে ছিল না। তাই আমিও জানি, যখন একজন ভালো করে না তখন সে কেমন অনুভব করে।”
“আমার মধ্যে এই ব্যাপারগুলোরও পরিবর্তন হয়েছে। এমনকি যখন আমি ভালো করি না তখনও যদি জানি কেউ ভালো অনুভব করছে না, তার সঙ্গে কথা বলি। জানার চেষ্টা করি তাদের মানসিক অবস্থা কেমন। এই ব্যাপারগুলো ঘটেছে ওই বিরতির পর।”