Published : 15 Oct 2023, 05:29 PM
বাঁহাতি পেসার ফাহাদ হোসেনের নিচু হওয়া ডেলিভারি ডিফেন্স করার চেষ্টায় পারলেন না সোহাগ গাজী, আঘাত হানল তার প্যাডে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। বোলার ও তার সতীর্থরা মাতলেন আনন্দে। সোহাগ ব্যাটের হ্যান্ডেলে মাথা ঠুকে ক্রিজে বসে রইলেন বেশ কিছুটা সময় ধরে। এভাবে তার হতাশায় নুয়ে পড়াটা স্বাভাবিক। ৩ রানের জন্য যে পেলেন না শতক! হারতে হলো ম্যাচও।
সোহাগকে ফিরিয়েই জয় নিশ্চিত হয় চট্টগ্রাম বিভাগের। ২৫তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচটি তারা জিতেছে ৮৭ রানে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ৩১২ রানের লক্ষ্যে রোববার শেষ দিনের শেষ সেশনে ২২৪ রানে অল আউট হয় বরিশাল।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দশম শতকের সম্ভাবনা জাগিয়ে ৯৭ রানে আউট হন সোহাগ। তার ১৩২ বলের ইনিংসটি গড়া ১১ চার ও ৩ ছক্কায়। অফ স্পিনে প্রথম ইনিংসে তিনি নেন ৫ উইকেট। জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।
এই ম্যাচে সব মিলিয়ে তিন জন আউট হলেন নব্বইয়ের ঘরে। প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামের পিনাক ঘোষ ৯৬ ও মুমিনুল হক করেন ৯৪।
দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামের সফলতম বোলার হাসান মুরাদ। বাঁহাতি এই স্পিনার ৭৯ রানে নেন ৪ উইকেট। অফ স্পিনার নাঈম হাসান ও ফাহাদের প্রাপ্তি দুটি করে।
চতুর্থ দিনে রান তাড়ায় নেমে ৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বরিশাল। সাত নম্বরে নেমে সোহাগের লড়াই শুরু সেখান থেকেই। প্রায় একাই দলকে টানেন তিনি।
কামরুল ইসলাম রাব্বি নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন যখন, তখন সোহাগের রান ৭৪। শেষ ব্যাটসম্যান রুয়েল মিয়াকে নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। নাঈমের তিন বলের মধ্যে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে পৌঁছে যান নম্বইয়ের ঘরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শতকটা পাওয়া হলো না। রুয়েল ২৭ বলে শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ২৩৮
বরিশাল ১ম ইনিংস: ২৩৫
চট্টগ্রাম ২য় ইনিংস: ৩০৮
বরিশাল ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩১২) ৮৬.১ ওভারে ২২৪ (ইফতেখার ২৪, মইনুল ৭, ফজলে রাব্বি ১৭, সালমান ২০, শাহরিয়ার ৩৬, জাকারিয়া ০, সোহাগ ৯৭, মইন ৪, শামসুল ১৩, রাব্বি ০, রুয়েল ০*; ফাহাদ ৯.১-২-২০-২, ইফরান ৮-৩-২১-১, নাঈম ২৫-৬-৫৫-২, ইয়াসিন ১৫-৫-৪৪-১, মুরাদ ২৯-৬-৭৯-৪)
ফল: চট্টগ্রাম ৮৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: সোহাগ গাজী