Published : 27 Apr 2023, 01:02 PM
বাবর আজমের নেতৃত্ব নিয়ে পাকিস্তানে প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই। দলের হারার পর মাঝেমধ্যেই তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকে। এবার যেমন তার দিকে সমালোচনার তীব্র তির ছুঁড়লেন কামরান আকমল। পাকিস্তানের সাবেক এই কিপার-ব্যাটসম্যানের মতে, লম্বা সময় দায়িত্বে থেকেও নেতৃত্বের ব্যাপারটি কিছুই বোঝেন না বাবর।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বিশ্লেষণে বাবরকে এভাবে তুলাধুনা করে ছাড়েন কামরান। সিরিজে এক পর্যায়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় নিউ জিল্যান্ড। আইপিএল, চোট ও অন্যান্য কারণ মিলিয়ে সেরা দলের অন্তত ৭-৮ জনকে ছাড়া এই সিরিজ খেলতে নেমে শেষ পর্যন্ত সিরিজ ড্র করে কিউরা। একটি ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে।
শেষ ম্যাচে ১৯৩ রানের পুঁজি গড়ার পর বোলিংয়ে প্রথম ওভারে দুই উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তান। ১০ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের রান ছিল ৪ উইকেটে ৭৩। কিন্তু মার্ক চাপম্যান ও জিমি নিশামের অসাধারণ এক বিধ্বংসী জুটিতে ৫৮ বলে ১২১ রান যোগ করে জিতে যায় কিউইরা।
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবরের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ৫৭ বলে ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন চাপম্যান। নিশাম অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ৪৫ রান করে।
এই হারের জন্য আকমল দায় দিলেন বাবরের নেতৃত্বকে। ভুল থেকে শেখার কোনো ব্যাপার অধিনায়কের মধ্যে চোখে পড়েনি সাবেক এই কিপার-ব্যাটসম্যানের।
“তাদের ভুলের কথা বললে তারা কথা অন্যদিকে ঘুরিয়ে ফেলে এবং আমরা সমালোচনা করছি বলে অভিযোগ তোলে। কিন্তু আমাদের মনোযোগ তো তার নেতৃত্বে, পারফরম্যান্সে নয়। তাদের প্রতি আমরা অন্ধ নই।”
“চার বছর দায়িত্বে থেকে সে (বাবর আজম) জানে না কীভাবে অধিনায়কত্ব করতে হয়। সে এমনকি এটাও জানে না যে কোন সময়ে কোন বোলারকে আক্রমণে আনতে হয়। একই ভুল বারবার করে তারা ম্যাচ হেরে যাচ্ছে, এটা মোটেও বিস্ময়কর নয়। আমরা তো নিজেদের ভুল কমাইনি, এজন্যই ওরা জিতে গেছে।”
শেষ ম্যাচে নেতৃত্বের একটি ঘাটতির কথা সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করলেন আকমল। দুই বাঁহাতি চাপম্যান ও নিশাম যখন ব্যাটিং করছিলেন, তখন অফ স্পিনার ইফতিখার আহমেদকে বোলিং দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
“ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যানই যখন বাঁহাতি, তখন ইফতিখার আহমেদকে বোলিংয়ে আনাই হতে যৌক্তিক। কিন্তু আমরা দেখলাম, লেগ স্পিনার শাদাব খানকে বোলিংয়ে আনা হলো এবং নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা তাকে তুলাধুনা করে ছাড়ল। অথচ উচিত ছিল শাদাবকে বিশ্রাম দিয়ে আরেকজন অলরাউন্ডারকে দলে এনে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া।”
শাদাবকে সেদিন প্রথম বোলিংয়ে আনা হয় পাওয়ার প্লে শেষের পরের ওভারে। তখন বাঁহাতি চাপম্যানের সঙ্গে ডানহাতি ড্যারিল মিচেলও ছিলেন ক্রিজে। তবে স্ট্রাইকে থাকা চাপম্যান প্রথম দুই বলেই ছক্কা ও চার মেরে দেন শাদাবকে।
তাকে আবার আক্রমণে আনা হয় দ্বাদশ ওভারে। এবার একটি চার মারেন নিশাম, আবারও ছক্কা-চার মারেন চাপম্যান। শাদাবের ২ ওভারে রান আসে ২৯। ইফতিখারকে এ দিন বোলিংয়েই আনেননি বাবর।