Published : 15 Jul 2023, 12:29 AM
চট্টগ্রামে উদীচী জেলা সংসদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জয়ন্তী।
শুক্রবার রাতে প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ আয়োজন শুরু হয়৷
কথামালা পর্বে ছড়াকার ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ বলেন, “অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যবাদী চেতনার আধার বাংলা সাহিত্যের তিন মহীরুহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম এবং সুকান্ত ভট্টাচার্য বাঙালির মানস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
“তাদের সৃষ্টিকর্ম সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, সাম্রাজ্যবাদসহ সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আলোকবর্তিকা হিসেবে আমাদের পথনির্দেশনা করে চলছে।"
তিনি বলেন, “উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জন্মলগ্ন থেকেই একটি উদার মানবিক সাম্যবাদী সমাজের লক্ষ্যে সমস্ত শোষণ,নিপীড়নের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জাগরণ তৈরির তৎপরতায় সচেষ্ট। সে তৎপরতায় রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত কবিত্রয়ের অনন্য সৃষ্টি ও জীবনদর্শন শক্তি ও প্রেরণা হিসেবে আমাদের পথ দেখায়।"
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক বলেন, “রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও সুকান্ত আজকের দিনে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ তাদের চিন্তা ছিল চিরকালীন। অতীতের মত আজো তারা আমাদের চেতনার দিক নির্দেশক।
“রবীন্দ্রনাথ তার দর্শনে ও চেতনায় সাম্প্রদায়িকতা, অপসংস্কৃতি, লুটপাট ও শোষণ নির্ভর অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জাগরণে বিপুল শক্তি যোগায়। সাম্যের কবি, দ্রোহের কবি নজরুল ইসলামের চেতনায় আমরা সকল অশুভ এবং অসত্যর বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প উৎপাটন, অগ্নিস্ফুলিঙ্গ প্রতিবাদের প্রেরণা যোগায়।"
সভাপতির বক্তব্যে উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি সাংবাদিক জসীম চৌধুরী সবুজ বলেন, “বাঙালি জাতির প্রতিটি অর্জনের মধ্যে রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্তের সৃষ্টি-সম্মিলন এমন এক দ্যেতনা তৈরি করে দিয়েছেন, যা সমাজ ও রাজনীতির বিমানবিক উপাদান - উদ্যোগের বিরুদ্ধে সচেতন প্রতিরোধে উৎসাহী করে তোলে।"
উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সাধারন সম্পাদক অসীম বিকাশ দাশের পরিচালনায় কথামালা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করে অভ্যুদয় সাংস্কৃতিক অঙ্গন, নজরুল পর্বে দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন স্বরলিপি সাংস্কৃতিক ফোরাম, সুকান্ত পর্বে দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন সৃজামি।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন মিলি চৌধুরী, সঞ্জয় পাল ও শামীমা ইয়াসমিন।
দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স, সৃষ্টি কালচারাল একাডেমি ও সঞ্চারী নৃত্যকলা একাডেমি। সবশেষে দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের শিল্পীরা।