Published : 26 Mar 2023, 10:30 PM
ভারতে দাপুটে গায়িকাদের তালিকায় বেশ আগেই জায়গা করে নিয়েছেন সুনিধি চৌহান। ছোট্ট নিধি নিয়ে এসেছিলেন, মন মাতাচ্ছেন ‘সুর কি নিধি’ হিসেবে।
‘রুকি রুকি থি জিন্দেগি’, ‘মাস্ট’ গেয়ে ১৯৯৯ সালে বাজিমাত করার মধ্যে দিয়ে সেই যে নাম করেছেন, তা হালের আমলেও ধরে রেখেছেন।
গলার স্বরই তার বিশেষত্ব। তার গাওয়া গানের কল্যাণে পরিচিতি পেয়েছে একাধিক সিনেমা। সম্প্রতি সুনিধি অকপটে বলেছেন তার দীর্ঘ ২৫ বছরের সংগীত জীবনের অজানা সব গল্প।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘নিধি থেকে সুনিধি’ হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরেছেন ৩৯ বছর বয়সী এ গায়িকা।
তার কাছে প্রশ্ন ছিল,’ক্যারিয়ারের শুরুতে আপনাকে নিধি নামে ডাকা হতো। তারপর কীভাবে সুনিধি হয়ে উঠলেন?’
জবাবে মৃদু হেসে গায়িকা জানান, তার নাম নিধি চৌহান। শুরুর দিকে দিল্লিতে যখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন তখন তাকে বেবি নিধি বলে ডাকা হত। তবে সবকিছু বদলে গেল এমনকি নামও সুরকার কল্যাণজি-আনন্দজির সঙ্গে সাক্ষাতের পর।
স্মৃতি রোমন্থন করে সুনিধি বলেন, “কল্যাণজি খুব ভালোবাসতেন আমাকে। একবার তিনি ‘লিটল ওয়ান্ডারস' শো’ (বাচ্চাদের নিয়ে টেলিভিশনের মঞ্চে আয়োজিত গানের অনুষ্ঠান) চালু করলেন আদিত্য নারায়ণ ও আমাকে নিয়ে। সেখানে কিছু প্রতিভাবান বাচ্চারাও ছিল।
“একদিন হঠাৎই এলোমেলোভাবে তিনি বলে বসলেন, ‘তোমার নাম নিধি থেকে সু-নিধি রাখলাম। ‘স’ থেকে সাধনা, ‘স’ থেকে সারগাম, ‘স’ থেকে সোনালী বাজপেয়িও বটে। তাই ‘সুর কি নিধি’- অর্থাৎ সুনিধিই তোমার নাম দিচ্ছি।“
এভাবেই নাম বদলের সেই গল্প জানালেন তিনি।
সেই ছোট্ট সুনিধি এখনও ‘বিড়ি জ্বালাইলে’, ‘ক্রেজি কিয়া রে’, ‘শিলা কি জওয়ানি’র মতো দারুণ জনপ্রিয় সব গান গেয়ে মাতিয়ে রাখছেন শ্রোতাদের।
আইটেম গানের পাশাপাশি ‘সাজনাজি ওয়ারি ওয়ারি’, ‘ভাগে রে মন কাহি’, ‘মেরে হাত মে’, ‘বেখাড়ি’, ‘রুকি রুকি’র মতো শ্রুতিমধুর গানের মাধ্যমেও শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছেন মধ্যবয়সী এ গায়িকা।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে আনন্দবাজার অনলাইনকে ২৫ বছরের ক্যারিয়ার নিয়ে নিজের অনুভূতি জানিয়েছিলেন এ গায়িকা।
সুনিধি জানান, ক্যারিয়ার নিয়ে আক্ষেপ নয় গর্বই করেন তিনি। কারণ ভালো মন্দ সব কিছু মিলিয়েই আজকের তিনি।
অতীত অভিজ্ঞতাই বর্তমানের ভিত মনে করেন বাংলা ও হিন্দি গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া এ গায়িকা।
জীবনের কঠিন সময়েও নিজেকে উজ্জীবিত করার মন্ত্র জানাতে তিনি বলেন, “নিজের উপর খারাপ সময়ের প্রভাব পড়তেই দিই না। ঠিক তেমনই আবার ভালো সময়ে খুব বেশি উচ্ছ্বসিত হই না। আমি আসলে মুহূর্তকে নিয়ে বাঁচি।”