Published : 03 Jul 2025, 09:24 AM
ঢাকায় জুলাই পদযাত্রার ভ্যানে হাতবোমা হামলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে এনসিপি।
বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় বাংলামোটরে এনসিপির প্রধান কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন দলটির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বের করা মিছিলটি শাহবাগে মেট্রোস্টেশনের নিচে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব লুৎফর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এরই অংশ হিসাবে ঢাকায় ডিজিটাল ডিসপ্লে দিয়ে ভ্যান সাজানো হয়েছে।
“বুধবার রাত ১২টার কিছু সময় আগে বাংলামোটরে দাঁড় করিয়ে রাখা জুলাই পদযাত্রার ভ্যানে দুর্বৃত্তরা হাতবোমা ছুড়ে চলে যায়। এতে ভ্যানের লাখ টাকা দামের ডিসপ্লেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য কেউ এসব করছে।”
জুলাই পদযাত্রা উপলক্ষে দলের বেশিরভাগ নেতা এখন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচি পালন করছেন। ঢাকায় অবস্থানরত এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবের নেতৃত্বে রাতের প্রতিবাদ মিছিলটি হয়।
শাহবাগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আদীব বলেন, “বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি দেশের বিভিন্ন স্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হচ্ছেন। ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা শহীদদের কবরগুলোতেও আক্রমণ করেছে। বিভিন্ন সময় আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা হয়। কোথাও কোনো আন্দোলন হলে পুলিশও জুলাইয়ের আহত সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা করে।
“জুলাইয়ের ছাত্রজনতার দল এনসিপিকে দমিয়ে রাখার জন্য যেমনভাবে অনলাইনে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তেমনভাবে বারবার ককটেল হামলা চালোনা হচ্ছে। প্রতিটি যোদ্ধাকে নিরাপত্তা দেওয়া অভ্যুত্থানের সরকারের দায়িত্ব। এই সরকার যদি গণঅভ্যুত্থানের অংশ নেওয়াদের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে অভ্যুত্থানের শক্তি জুলাই বিপ্লবী ফোর্স গঠন করতে বাধ্য হবে।”
এর আগে গত ২৩ জুন এনসিপি কার্যালয় ভবন রূপায়ণ টাওয়ারের সামনের সড়কে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ওই রাতেও বাংলামোটর এলাকায় বিক্ষোভ দেখান এনসিপির নেতাকর্মীরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে আদীব বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। পরপর তিনবার ককটেল হামলা হলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাউকে চিহ্নিত করতে পারছে না। রাষ্ট্রের এই সংস্থাগুলোকে অতি দ্রুত সংস্কার করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
বিক্ষোভ সমাবেশে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ, এসএম শাহরিয়ার, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক খান মুহাম্মদ মুরসালীনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।