Published : 13 Aug 2024, 09:09 PM
খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা‘, চিকিৎসা নেওয়ার হাসপাতালও তার চলাচলের সময় নিরাপত্তার জন্য পুলিশ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দুটি দপ্তরে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তারের সই করা দুটি চিঠি জননিরাপত্তা সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জননিরাপত্তা সচিবে কাছে মঙ্গলবার এবং পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে গত বুধবার চিঠি দুটি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, দু-এক দিনের মধ্যে তিনি গুলশানের বাসায় অবস্থান করবেন। সেজন্য তার বাসভবন, হাসপাতাল ও চলাচলের সময় পর্যাপ্ত পুলিশ নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
২০১৪ সালে বিরোধীদলীয় প্রধানের পদ হারানোর পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুলিশ এসকর্ট প্রত্যাহার করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এরপর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৬ অগাস্ট বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বঙ্গভবনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীপ্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
পাসপোর্টও ফিরে পেয়েছেন খালেদা জিয়া। ৬ অগাস্ট তার পাসপোর্ট নবায়নের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। পরে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে তার প্রতিনিধির কাছে নবায়ন করা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) হস্তান্তর করা হয় বলে জানা গেছে।
দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়।
এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে সাজা স্থগিতের সময় তার স্বাভাবিক চলাচল ছিল না। বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া।