Published : 27 Dec 2023, 12:19 PM
ভোটারদের কেন্দ্র নিতে সরকার ‘মরিয়া’ হয়ে উঠলেও তাতে ‘সাড়া মিলছে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি দাবি করেছেন, পাড়া-মহল্লায় নৌকার প্রার্থী-সমর্থকদের প্রচার দেখলে মানুষ ‘দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে’।
৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনে জনমত গড়তে গণসংযোগে নেমেছে বিএনপি। এই কর্মসূচিতে বুধবার সকালে ১০/১২ জন নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে লিফলেট বিতরণ করতে দেখা যায় রিজভীকে।
এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, “অবৈধ সরকার ও তার বংশবদ নির্বাচন কমিশন দেশে ডামি ও তামাশার যে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জনগণ তাতে সাড়া দিচ্ছে না। তাই ভোটকেন্দ্রে লোকজনকে নিতে ক্ষমতাসীনরা মারিয়া হয়ে উঠেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে; বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওরা বলে আসছে ভোটের দিন কেন্দ্রে না গেলে নাকি খবর আছে।”
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, “সরকারকে বলে দিতে চাই, আপনাদের এসব সন্ত্রাসী হুমকিতে কোনো লাভ নেই। জনগণ ডামি নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না।“
সরকার ‘একতরফা নির্বাচন করে’ দেশটাকে জাহান্নাম বানানোর অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী। তার দাবি, দেশের কোথাও কোনো ভোটের আমেজ বা উদ্দীপনা চোখে পড়ছে না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, “এলাকায় এলাকায় কোথাও কোনো ভোটের আমেজ কিংবা উৎসব নেই। নেই মানুষের ভেতরে ভোট নিয়ে আলাপ-আলোচনা। এলাকায় এলাকায় যখন নৌকার সমর্থনে মাইকে প্রচারণা চালায় তখন মানুষ দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আর সাধারণ মানুষ বলেন, এটা ভোট না, এটা তিনশ আসনে ভাগ-বাটোয়ারার নাটক।”
মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বিএনপির এই কর্মসূচি চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এই তিন দিন সারাদেশে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করবে ‘ভোট বর্জনের’ আন্দোলনে থাকা দলটি।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আরিফা সুলতানা রুমা লিফলেট বিতরণের সময় রিজভীর সঙ্গে ছিলেন।
এছাড়া বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীদের নিয়ে শান্তিনগর বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন।
গত ২৯ অক্টোবর থেকে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো চার দফায় ৫ দিন হরতাল ও এ পর্যন্ত ১২ দফায় ২৩ দিন অবরোধ কর্মসূচি করেছে। এসব কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকশ যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে।