Published : 07 May 2025, 06:10 PM
পদত্যাগের দাবিতে এক দফা আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ওই ভবনের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেন।
উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন পদত্যাগ না করলে এই বাসভবনের তালা আর খোলা হবে না বলে জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিন খান।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা উপাচার্যের বাসভবনের গিয়ে তালা দেন। এরপর একে একে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা নতুন উপাচার্য পাওয়ার পর তাকে নিয়ে এই তালা খুলবেন। উপাচার্য পদত্যাগ না করলে অনশনসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তাদের এক দফা আন্দোলনে ১৫ বিভাগ একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও শিক্ষার্থী সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, “একজন উপাচার্য সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে থাকার কথা থাকলে, বর্তমানে যিনি রয়েছেন, তিনি সিংহভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিক গতিতে পরিচালিত হচ্ছে না। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।”
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী মোকাবেল শেখ বলেন, “আন্দোলনের ২৪তম দিনে এসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুয়ায়ী আমরা উপাচার্যের বাসভবনে তালা লাগিয়ে দিয়েছি। উপাচার্য বাসভবনে কখনো থাকেন না, তিনি সবসময় ঢাকাতে থাকেন।
“গুচ্ছ পরীক্ষার কথা চিন্তা করে কঠোর কোনো কর্মসূচি এখনি দিচ্ছি না। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে অনশন, দক্ষিণবঙ্গ বন্ধ ঘোষণাসহ কঠোর কর্মসূচিতে যাব আমরা।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন বলেন, “বাসভবনে তালা দেওয়াসহ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার খবর শুনেছি। সেখানে গুটি কয়েক শিক্ষার্থী ছিল। আন্দোলন করা হবে, ঠিক আছে। কিন্তু সেটা গঠনমূলক হতে হবে।
“বর্তমান আন্দোলন গঠনমূলক না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে না। শুনেছি, আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য কর্মচারীদের ফোন করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন:
উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা: শিক্ষার্থীদের
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে