Published : 16 Mar 2025, 04:58 PM
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ সালিশে মীমাংসার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, প্রায় এক মাস আগে ৯ বছর বয়সী ওই মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
এ ঘটনায় মামলার পর শনিবার রাতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকা থেকে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ৪৫ বছর বয়সী ফিরোজ পেশায় অটোরিকশা চালক। এর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তার ছেলে সাব্বির হোসাইনকে (২১)।
মামলার এজাহারের বরাতে পুলিশ জানায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ফিরোজ শিশুটির নানির বাড়ির পাশের জমিতে সার দিচ্ছিলেন। এ সময় ওই জমির পাশের একটি গাছ থেকে বরই কুড়াচ্ছিল শিশুটি।
তখন ফিরোজ শিশুটিকে কৌশলে ডেকে একটি টয়লেটের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে। এবং ধর্ষণের কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখায়।
ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে শিশুটি চুপচাপ থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের। পরে বারবার জিজ্ঞেস করায় একপর্যায়ে কান্না করে পুরো ঘটনা মাকে খুলে বলে ওই শিশু।
এ ঘটনায় ৮ মার্চ রাতে ভুক্তভোগী পরিবার ফিরোজকে প্রধান আসামি করে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলা করতে দেরি হওয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির মা বলেন, ধর্ষণের ঘটনার ধামাচাপা দিতে স্থানীয় আব্দুল মালেক, ইউনূস, বাবলু, নূরুল ইসলামসহ কয়েকজন মাতব্বর ঘটনার সপ্তাহখানেক পর গ্রাম্যসালিশের আয়োজন করে। সালিশে ধর্ষক ফিরোজকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
গ্রাম্য মাতাব্বরদের চাপের মুখে অসহায় পরিবারটি সালিশটি মেনে নিতে বাধ্য হয় জানিয়ে ওই নারী অভিযোগ করেন- জরিমানার টাকাগুলোও তাদের দেওয়া হয়নি। মামলায় তারা গ্রাম্য মাতব্বরদেও আসামি করেছেন।
ওসি মোশারফ জানান, মামলার পরই আসামি ফিরোজের ছেলে সাব্বির হোসাইনকে (২১) মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন রামনগর গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান আসামি ফিরোজকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।