Published : 16 Feb 2025, 02:39 PM
ঢাকার আশুলিয়ায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে লাগা আগুনে দগ্ধদের মধ্যে সুমন নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, সুমনের পোড়ার মাত্রা ছিল ৯৯ শতাংশ; আইসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। রোববার বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে দুদিন আগের ওই অগ্নি দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল দুইজন।
এর আগে শনিবার রাত ৩টা২৫ মিনিটে শিউলি আক্তার নামে এক নারী মারা যান। তার পোড়ার মাত্রা ছিল ৯৫ শতাংশ। তিনিও আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন।
শাওন বিন রহমান বলেন, এখনো বেঁচে থাকা ৯ জনের মধ্যে চারজন এইচডিইউতে, একজন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং চারজন পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
"তাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শারমিন নামে একজনকে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে।"
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় একটি বাসায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লেগে তিন শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হন।
দগ্ধরা হলেন- জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৫), সূর্য বানু (৫০), সোহেল মিয়া (৩৮), সুমন মিয়া (৩২), শিউলি আক্তার (৩২), শারমিন আক্তার (৩৫), শামিম (১৫), মাহাদী (৭), সোয়ায়েদ (৪) ও সুমাইয়া (৩)।
সেদিন গভীর রাতে তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে আনা হয়।
আশুলিয়া থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী সে সময় বলেন, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে জিরাবো এলাকার ওই বাসায় আগুনের সূত্রপাত হয়।